প্রেমে ব্যর্থ হওয়া শিকলবন্দি মামুনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
অক্টোবর ২৭ ২০২৫, ১৭:৪৭
মিয়া রোকন, বাবুগঞ্জ ॥ বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আইসার হাওলা গ্রামের ২০ বছর আগে প্রেমে ব্যর্থ হয় মানসিক ভারসাম্য হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ১২ বছর ধরে শিকল বন্দি অবস্থা পরে ছিলেন। এরপর গত কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ এর নজরে আসেন। এরপর সাইদুল ইসলাম মামুন পরিবারের ব্যাপারে খোজ খবর নেন।
সোমবার বেলা ১১ টায় ইউএনওর কক্ষে মামুনের চিকিৎসার জন্য তার মায়ের হাতে একটি চেক প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম,প্রমুখ।
সাইদুল ইসলাম মামুন উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আইচার হাওলা গ্রামের মোসলেম ব্যাপারি ও মা সোনাবান বেগমের ছেলে।
উল্লেখ, সাইদুল ইসলাম মামুন বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। তখন একই বিদ্যালয়ের সোনালী (ছদ্মনাম) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসময় তাদের সম্পর্কের বিষয়টি মেয়ের পরিবার জানতে পারে। বিষয়টি নিয়ে মামুনের উপর প্রেসার ক্রিয়েট করে মেয়েটির পরিবার এবং মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতেই মামুন ধীরে ধীরে মানুষিক ভারসম্য হীন হয়ে পরে। সেই থেকে মামুন পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াত। একপর্যায়ে মানুষিক বিপর্যন্ত মামুনকে শিকলবন্দী করে রাখে তার পরিবার। গত ১২ বছর যাবৎ পায়ে শিকল পরিয়ে তালা মেরে রাখা হয় মামুনকে।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আমাদের চোখে পড়ে এবং মামুনের মাকে ডেকে এনে তার কাছে চিকিৎসার জন্য একটি চেক প্রদান করা করছি। ভবিষ্যতে মামুনের চিকিৎসার জন্য আরো অর্থ প্রদান করতে চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে সাইদুল ইসলাম মামুনের মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে সাইদুল ইসলাম মামুন লেখাপড়ায় খুব ভাল ছিল ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে দীর্ঘ অনেক বছর যাবত মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। আমার সাধ্যমত তাকে অনেক বার চিকিৎসা করিয়েছি তাতে কোন ফল হয়নি। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় মামুন তারপর ১২ বছর যাবত ঘরের ভিতর শিকল বন্দি করে রেখেছি মামুন কে। কেউ সাইদুল ইসলাম মামুনের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেনি।









































