অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ

জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা

অক্টোবর ২৪ ২০২৫, ২১:০৮

বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও বিশ্লেষকরা মনে করছে এই তিন দল কেবল সরকারকেই নয়, একে অপরকেও রাজনৈতিক চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছে নির্বাচনের আগে।

বৈঠকগুলোয় দলের অবস্থান, অভিযোগ ও বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় প্রশাসনিক প্রভাব ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার প্রশ্নে দলগুলোর মধ্যে এক অঘোষিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। সবাই চায় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের অনুকূলে রাখতে।

গত মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। দলটি সরকারের কিছু উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং কয়েকজনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানায়।

সূত্রমতে, বিএনপি এক উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ সহকারীর নাম নির্দিষ্ট করে তাদের ‘দলঘনিষ্ঠ’ বলে অভিযোগ তোলে।

বিএনপির দাবি, জনপ্রশাসনে সাম্প্রতিক কিছু নিয়োগ ও পদায়নে জামায়াতের প্রভাব ছিল, যা দলটি ‘অসন্তোষজনক’বলে মনে করে।

বিএনপি আরও পরামর্শ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন এখন থেকেই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা’ পালন শুরু করে এবং সচিবালয়, বিচার বিভাগ ও মাঠ প্রশাসনে পুনর্গঠন আনে।

পরদিন বুধবার বিকেলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলও যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে।

দলটির বক্তব্য কিছুটা ভিন্ন তারা উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠনের পক্ষে, তবে ন্যায্যতা ও ভারসাম্যের ওপর জোর দেয়।

বৈঠক শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রশাসনে আমরা ভাগ-বাঁটোয়ারার প্রবণতা দেখছি। বড় দলগুলো নিজেদের অনুগত কর্মকর্তা নিয়োগের তালিকা দিচ্ছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

এনসিপির দাবি, যদি কাউকে বাদ দেয়া হয়, তবে শুধু ছাত্র উপদেষ্টা নয়, বরং সব দলের প্রতিনিধিত্বকারী উপদেষ্টাদের ক্ষেত্রেই একই নীতি প্রযোজ্য হতে হবে। তাদের মতে, জনপ্রশাসনে বদলি বা পদায়ন কেবল যোগ্যতার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত।

একই দিন সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীও যমুনায় বৈঠকে অংশ নেয়। দলটির নেতারা বৈঠকের পর জানান, কিছু উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন। যদিও তারা নাম প্রকাশ করেননি।

দলীয় সূত্র বলছে, জামায়াত মনে করে কয়েকজন উপদেষ্টা বিএনপির স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয়।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন, সচিবালয় ও পুলিশ প্রশাসনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কর্মকর্তা একটি দলের প্রতি অনুগত। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

জামায়াতের অভিযোগ, প্রশাসনে বিএনপির ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রভাব বিস্তার করছেন। দলের শীর্ষ পর্যায়ে এই কর্মকর্তাদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে এখন একটি ‘পারস্পরিক অবিশ্বাস’ তৈরি হয়েছে। তারা যেমন সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, তেমনি একে অপরের প্রভাব কমাতেও তৎপর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, তিন দলই এখন নির্বাচনের আগে সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চাইছে। তারা একে অপরকে দুর্বল প্রমাণ করে সরকারের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে চায়।

তিনি আরও বলেন, এক দল মনে করছে, অন্য দল বেশি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এ কারণেই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের এই রাজনীতি চলছে।

জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েও দলগুলোর মধ্যে মতভেদ স্পষ্ট। বিএনপি সনদের বাস্তবায়নের আগে গণভোট আয়োজনের পক্ষে, কিন্তু এনসিপি বলছে, আইনি ভিত্তি ছাড়া এটি কার্যকর করা যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই গণভোটের প্রস্তাবে একমত। একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, অন্যটি এখন সই করার সুযোগ খুঁজছে।

রাজনৈতিক মহলে ধারণা, সালাহউদ্দিন আহমদ এখানে এনসিপিকেই ইঙ্গিত করেছেন। অন্যদিকে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বড় একটি দলের প্রভাবে সরকার আইনি ভিত্তি ছাড়াই জুলাই সনদ ঘোষণা করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নব্বইয়ের মতো প্রতারণা ঘটতে পারে। এই পারস্পরিক অভিযোগের ফলে সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা এখনো ঝুলে আছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ না আসা পর্যন্ত সরকারও নীরব অবস্থানে রয়েছে।

সরকারি সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এখন ‘অপেক্ষার কৌশল নিচ্ছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে। সুপারিশ হাতে পাওয়ার পরই উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি মনে করেন, এখনই কোনো উপদেষ্টা পরিবর্তন বা প্রশাসনিক রদবদল সরকারের পরিকল্পনায় নেই; তবে চাপ বেড়েছে, সেটিও অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

তিন দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার প্রশ্নে যেভাবে প্রতিটি দল নিজেদের অবস্থানে অনড়, তাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এক সিনিয়র সাবেক সচিব মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসন নিয়ে এমন টানাপোড়েন স্বাভাবিক নয়। দলগুলো এখন সরকার নয়, বরং পরস্পরকেই সন্দেহ করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন স্পষ্ট এক ‘ত্রিমুখী চাপের রাজনীতি’ চলছে সরকারের ওপর একদিকে দাবি ও চাপ, অন্যদিকে একে অপরের প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অবিশ্বাস।

বিএনপি—জামায়াত—এনসিপি তিন দলই নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছে, কিন্তু তাদের দাবি ও অবস্থানই এখন সেই নিরপেক্ষতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই চাপের ভারসাম্য রক্ষা করে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা।

বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও বিশ্লেষকরা মনে করছে এই তিন দল কেবল সরকারকেই নয়, একে অপরকেও রাজনৈতিক চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছে নির্বাচনের আগে।

বৈঠকগুলোয় দলের অবস্থান, অভিযোগ ও বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় প্রশাসনিক প্রভাব ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার প্রশ্নে দলগুলোর মধ্যে এক অঘোষিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। সবাই চায় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের অনুকূলে রাখতে।

গত মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। দলটি সরকারের কিছু উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং কয়েকজনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানায়।

সূত্রমতে, বিএনপি এক উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ সহকারীর নাম নির্দিষ্ট করে তাদের ‘দলঘনিষ্ঠ’ বলে অভিযোগ তোলে।

বিএনপির দাবি, জনপ্রশাসনে সাম্প্রতিক কিছু নিয়োগ ও পদায়নে জামায়াতের প্রভাব ছিল, যা দলটি ‘অসন্তোষজনক’বলে মনে করে।

বিএনপি আরও পরামর্শ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন এখন থেকেই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা’ পালন শুরু করে এবং সচিবালয়, বিচার বিভাগ ও মাঠ প্রশাসনে পুনর্গঠন আনে।

পরদিন বুধবার বিকেলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলও যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে।

দলটির বক্তব্য কিছুটা ভিন্ন তারা উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠনের পক্ষে, তবে ন্যায্যতা ও ভারসাম্যের ওপর জোর দেয়।

বৈঠক শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রশাসনে আমরা ভাগ-বাঁটোয়ারার প্রবণতা দেখছি। বড় দলগুলো নিজেদের অনুগত কর্মকর্তা নিয়োগের তালিকা দিচ্ছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

এনসিপির দাবি, যদি কাউকে বাদ দেয়া হয়, তবে শুধু ছাত্র উপদেষ্টা নয়, বরং সব দলের প্রতিনিধিত্বকারী উপদেষ্টাদের ক্ষেত্রেই একই নীতি প্রযোজ্য হতে হবে। তাদের মতে, জনপ্রশাসনে বদলি বা পদায়ন কেবল যোগ্যতার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত।

একই দিন সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীও যমুনায় বৈঠকে অংশ নেয়। দলটির নেতারা বৈঠকের পর জানান, কিছু উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন। যদিও তারা নাম প্রকাশ করেননি।

দলীয় সূত্র বলছে, জামায়াত মনে করে কয়েকজন উপদেষ্টা বিএনপির স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয়।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন, সচিবালয় ও পুলিশ প্রশাসনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কর্মকর্তা একটি দলের প্রতি অনুগত। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

জামায়াতের অভিযোগ, প্রশাসনে বিএনপির ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রভাব বিস্তার করছেন। দলের শীর্ষ পর্যায়ে এই কর্মকর্তাদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে এখন একটি ‘পারস্পরিক অবিশ্বাস’ তৈরি হয়েছে। তারা যেমন সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, তেমনি একে অপরের প্রভাব কমাতেও তৎপর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, তিন দলই এখন নির্বাচনের আগে সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চাইছে। তারা একে অপরকে দুর্বল প্রমাণ করে সরকারের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে চায়।

তিনি আরও বলেন, এক দল মনে করছে, অন্য দল বেশি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এ কারণেই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের এই রাজনীতি চলছে।

জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েও দলগুলোর মধ্যে মতভেদ স্পষ্ট। বিএনপি সনদের বাস্তবায়নের আগে গণভোট আয়োজনের পক্ষে, কিন্তু এনসিপি বলছে, আইনি ভিত্তি ছাড়া এটি কার্যকর করা যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই গণভোটের প্রস্তাবে একমত। একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, অন্যটি এখন সই করার সুযোগ খুঁজছে।

রাজনৈতিক মহলে ধারণা, সালাহউদ্দিন আহমদ এখানে এনসিপিকেই ইঙ্গিত করেছেন। অন্যদিকে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বড় একটি দলের প্রভাবে সরকার আইনি ভিত্তি ছাড়াই জুলাই সনদ ঘোষণা করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নব্বইয়ের মতো প্রতারণা ঘটতে পারে। এই পারস্পরিক অভিযোগের ফলে সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা এখনো ঝুলে আছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ না আসা পর্যন্ত সরকারও নীরব অবস্থানে রয়েছে।

সরকারি সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এখন ‘অপেক্ষার কৌশল নিচ্ছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে। সুপারিশ হাতে পাওয়ার পরই উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি মনে করেন, এখনই কোনো উপদেষ্টা পরিবর্তন বা প্রশাসনিক রদবদল সরকারের পরিকল্পনায় নেই; তবে চাপ বেড়েছে, সেটিও অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

তিন দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার প্রশ্নে যেভাবে প্রতিটি দল নিজেদের অবস্থানে অনড়, তাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এক সিনিয়র সাবেক সচিব মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসন নিয়ে এমন টানাপোড়েন স্বাভাবিক নয়। দলগুলো এখন সরকার নয়, বরং পরস্পরকেই সন্দেহ করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন স্পষ্ট এক ‘ত্রিমুখী চাপের রাজনীতি’ চলছে সরকারের ওপর একদিকে দাবি ও চাপ, অন্যদিকে একে অপরের প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অবিশ্বাস।

বিএনপি—জামায়াত—এনসিপি তিন দলই নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছে, কিন্তু তাদের দাবি ও অবস্থানই এখন সেই নিরপেক্ষতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই চাপের ভারসাম্য রক্ষা করে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও