হেদার নাইটের ব্যাটে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
অক্টোবর ০৮ ২০২৫, ০২:৪৬
মারুফা আক্তারের দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ডের টপঅর্ডার। এরপর ফাহিমা খাতুনের ঘূর্ণিতে ধস নামে মিডলঅর্ডারে। একসময় জয়ের স্বপ্নও দেখছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত হেদার নাইটের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ২৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদম ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। মারুফা আক্তারের একের পর এক ইনসুইঙ্গার সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দুই ওপেনার। দুজনের কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ২৯ রানেই ফেরেন দুই ওপেনার—দুটি উইকেটই নেন মারুফা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর চাপ সামলে নেন হেদার নাইট ও নাট স্কিভার ব্রান্ট। এই জুটি ভাঙেন ফাহিমা খাতুন। ৩২ রানে থামেন স্কিভার। একই ওভারে সোফি ডাঙ্কলেকেও ফেরান ফাহিমা। কিছুক্ষণের মধ্যে তৃতীয় শিকারও পান এই ডানহাতি স্পিনার—১ রানে আউট হন এমা লাম্ব। এরপর ২০ রানে থামেন অ্যালিস ক্যাপসি।
৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন হেদার নাইট। তাকে সঙ্গ দেন চার্লি ডিন। এই দুই ব্যাটারের অপ্রতিরোধ্য ৭৯ রানের জুটিতেই জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ফিফটি পূরণের পর ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন নাইট। অপরপ্রান্তে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন চার্লি।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেকে ফিফটি হাঁকানো রুবায়া আক্তার ঝিলিক। দলীয় ২৪ রানে ফেরেন তিনি (৪)। স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই ফেরেন অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানা জ্যোতি (০)।
হঠাৎ দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন ওপেনার শারমিন আক্তার (৩০)। তৃতীয় উইকেটে তিনি সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। শারমিনকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন সোফি একলেস্টন।
টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠেন মোস্তারি। কিন্তু যোগ্য সঙ্গী পাননি তিনি। দল একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। স্রোতের বিপরীতে লড়ে নারী বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন মোস্তারি। ১০৮ বলে ৮টি চার মেরে তিনি ৬০ রানে থামেন।
শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন রাবেয়া খান। মাত্র ২৭ বলে ৬টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রাবেয়া ছাড়া শেষ ছয়জন ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন সোফি একলেস্টন। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আরও দুই বোলার।









































