আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কোনো অবস্থাতেই তা পেছানো হবে না। শুক্রবার সকালে মাগুরার শ্রীপুরের মাঝাইল রেল লাইন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেছেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন পেছানো হবে না। এবং এই নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।’
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু) নির্বাচনসহ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে জাতীয় নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হবে— এটি সরকারের অঙ্গীকার। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে এসে যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। নির্বাচন বানচালের কোনো সুযোগ থাকবে না।’
জুলাই সনদ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘দলগুলোর সাথে আলোচনার পরেই এ সরকারের আমলেই চেষ্টা করা হবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা।’
সাংবাদিকদের অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজায় সনাতন ধর্মালম্বীদের নির্বিঘ্নে পূজা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। পূজার সময় সরকারের সকল নিরাপত্তা বিভাগ সক্রিয় থাকবে যাতে কোনো পক্ষ পূজাকে বিঘ্নিত করতে না পারে।’
রেল প্রকল্পে ভাঙা পড়ছে না কবি ফররুখ আহমদের বাড়ি
মাগুরা রেল লাইন প্রকল্প পরিদর্শনকালে শফিকুল আলম বলেন, ‘মুসলিম রেনেসাঁর প্রথম কবি ফররুখ আহমদ যেই বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং যে ঘরে বসে কবিতা রচনা করেছেন, সেই বাড়ির ওপর দিয়েই আগে রেললাইন প্রকল্পের নকশা করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রকল্পটির অবস্থান পরিবর্তন করে কবির বাড়ি থেকে প্রায় ১০ ফুট দূরে রেললাইন স্থাপন করা হবে। ফলে বাড়িটি পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে।
কবি ফররুখ আহমদের বাড়ি সংরক্ষণ বিষয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘কবির পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে আনলে রেল ও সড়কপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফয়জুল কবির খান প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনোভাবেই কবির বাড়িতে হাত না দিয়েই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ কবি ফরুক আহমেদ বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’
এদিকে প্রকল্পের কর্মকর্তা জানান, ১২০২ কোটি টাকার প্রকল্প আগামী বছর শেষ হবে। এই প্রকল্প শেষ হলে মাগুরা জেলা প্রথমবারের মতো রেলওয়ে প্রকল্পের আওতায় আসবে এবং জেলা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।