জমইয়াতে হিযবুল্লাহ’র নায়েবে আমীরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
এপ্রিল ০৬ ২০২৫, ১৮:৫৫

oplus_8388608
নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে জমি দখলের অভিযোগে বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর মাওলানা মির্জা নূরুর রহমান বেগ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
এমনকি যার জমিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তাকেই গত ১৬ বছর প্রভাব খাটিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
আজ রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর রূপাতলীতে এনায়েতুর রহমান মাদ্রাসা কম্পাউন্ডে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম বেগ। এসময় অর্থ আত্মসাত, হুমকি দেয়ারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, ২০০৪ সালে মির্জা আবু জাফর বেগ তার কেনা ৪৫ শতাংশ জমিতে চাচাতো ভাই এনায়েতুর রহমানের নামে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও একটি মসজিদের সমন্বয়ে একটি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনায়েতুর রহমানের সন্তান মির্জা নূরুর রহমান বেগ ও তার স্বজনরা পরিচালনা করতো। পরে প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণের জন্য আরও ১৫ শতাংশ জমি কেনা হয়। জমির মালিক আবু জাফর অর্থ সহায়তা করার পরও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থেকে মাওলানা নুরুর রহমান বেগসহ সহযোগীরা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে দান গ্রহণ করছিল। তারা সেই টাকার স্বচ্ছ হিসাব না দিয়ে আত্মসাত করেন।
এবিষয়টি জানতে পেরে জমিদাতা আবু জাফর গত ২৪ ফেব্রুয়ারী আমাকে (রেজাউল) সভাপতি করে ২২ সদস্যের একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। পরে এ বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার পারিবারিকভাবে মিমাংসা হওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা বরিশাল আসি।
এরপর এনায়েতুর রহমান মাদ্রাসা ও মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে গেলে নুরুর রহমান বেগের সহযোগীরা আমাদের মসজিদে ঢুকতে বাধা দেয়। তখন বাধা উপেক্ষা করে মসজিদের মিম্বরের কাছে বসতে গেলে কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে মারধর করেন। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসব বিষয়ে মির্জা নূরুর রহমান বেগ বলেন, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে আমার চাচা আবু জাফরের বড় ভাই মাওলানা রেজাউল করিম বেগসহ বিভিন্ন লোকজন গিয়েছিলেন। তখন তারা মসজিদের ইমামকে নামাজ পড়াতে দেবে বলে জানালে উপস্থিত স্থানীয় জনতা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করে নেয়ার জন্য বলে।
তবে অনিয়ম ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ মিথ্যা। চাচা আবু জাফর অবসরে যাওয়ায় তিনি এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়টি ছারছিনা পীরের উপস্থিতিতে এ বিষয়টি সমাধান হবে।
বরিশাল
০৬-০৪-২৫