যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীতে না যাওয়ায় বিএম কলেজের হল ভাঙচুর
নভেম্বর ১২ ২০২২, ১১:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজের আবাসিক হলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের দুইটি কক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে যেসব আবাসিক ছাত্রদের পরীক্ষা ছিল এবং যারা অনিচ্ছুক ছিলেন যুবলীগের ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে তারা বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে হল থেকে পালিয়ে যান। যারা হল থেকে পালিয়েছেন তাদের কক্ষের তালা ভেঙে ঢুকে ভাঙচুর করার অভিযোগ আবাসিক ছাত্রদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের রাকিব, সুমন, আকাশ, তানভীর, মুকিদসহ বেশ কয়েকজন আমাদের হলে এসে যুবলীগের সমাবেশের জন্য ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেন। এ সময় তারা জানতে পারেন কোনো কোনো রুমের ছাত্ররা মহাসমাবেশে যেতে না চাওয়ায় দুপুরের পর হল ত্যাগ করেছেন।
শেষ বর্ষের এক ছাত্র বলেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সি-ব্লকের ৪২৪ নম্বর রুমের তালা ভেঙে ভাঙচুর করেন। পরে আরও কয়েকটি রুমে এমন কাজ করেন তারা।
এ ছাড়া ৪২৫ নম্বর রুম তারা তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন। যুবলীগের সমাবেশে তারা যাওয়ার জন্য হুমকি দেন, এতে বাধ্য হয়ে অনেক ছাত্রই পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও সমাবেশের জন্য ঢাকায় গেছেন।
বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র বলেন, পরীক্ষা চলছে আমাদের। এই মুহূর্তে পড়াশুনার চাপে যখন হল থেকেই বের হই না, তখন রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে যাওয়া সম্ভব নয়, তাও আবার ঢাকায়।
আমরা কোনো দল করি না, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী। আমাদের ওপর কেন জোর করা হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রাজনৈতিক লোকজন অংশগ্রহণ করবে।
আর এই বিষয়টি আগেভাগে টের পেয়ে আমরা দুপুরে হল ত্যাগ করি। পরে রাতে এসে জানতে পারি অনেক রুম ভাঙচুর করছেন ছাত্রলীগের লোকজন।
প্রতিটি রাজনৈতিক প্রোগ্রামের সময় আমাদের ওপর এক ধরনের নির্যাতন করা হয়। ওই ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে মিছিলে না গেলে পড়াশুনা করা দুষ্কর হয়ে ওঠে এই ব্রজমোহন কলেজে।
তিনি বলেন, যারা হল ভাঙচুর করেছেন তারা সবাই বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকউল্লাহ মুনিমের অনুসারী। এই বিষয়ে জানতে আতিকউল্লাহ মুনিমকে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ভাঙচুরের কোনো ঘটনা জানা নেই বা কেউ কোনো লিখিত অভিযোগও দেয়নি।
আমি শুনেছি একটি কক্ষের কয়রা ভাঙা ও ওই রুমের মধ্যে এলোমেলো অবস্থা রয়েছে। তবুও বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।









































