শেবাচিমে টর্চ আর মোমবাতির আলোয় চিকিৎসা!
নভেম্বর ১১ ২০২২, ১৫:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে চারটি ওয়ার্ডে। আর রেডিওলজি বিভাগে এমন অবস্থা বিরাজ করছে ১৮ দিন যাবত। আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে একই অবস্থা তৈরি হলেও প্রাথমিকভাবে তা মেরামত করা হয়েছে। ১৯৬৮ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে জি ব্লকের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ড ৩ ও ৪। আই ব্লকের চক্ষু (পুরুষ), এ ব্লকের পুরুষ সার্জারি ১ এবং রেডিওলজি বিভাগ। শুক্রবার সকালে একাধিক রোগীর স্বজনরা বলেন, ওয়ার্ডে আলো না থাকায় আমরা অন্ধকারে টয়লেটে পর্যন্ত যেতে পারছি না। চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক সেবিকারা (নার্স) বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে আমরা ঠিকভাবে ইনজকেশন দিতে পারছি না। চলাফেরা করতে পারছি না। মোম আর চার্জার লাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে হচ্ছে। অথচ হাসপাতালের সামনে কোটি টাকা ব্যয় করে গেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে শুধু শুধু অপচয়। হাসপাতালে সেবা দেওয়া যায়না। এখন বিদ্যুৎ নেই। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী।
আমরা মনে করছি গেটের চেয়ে রোগী সেবা আমরা কিভাবে দিতে পারবো সেই উদ্যোগ নেয়া জরুরি। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, বর্তমানে সার্জারি ওয়ার্ডগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। আর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রেডিওলজি বিভাগ।
এতে করে সরকারীভাবে পরীক্ষা করানো যাচ্ছেনা। চিকিৎসকরা সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না। নার্সরাও সেবা দিতে পারছে না। রোগীরা বেকায়দায় রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় হাসপাতালটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করা হয়নি। এজন্য বিভিন্নস্থান থেকে বিদ্যুৎতের ক্যাবল নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।









































