উদ্বোধনের পূর্বে কালভার্টে বড় ধরণের ফাঁটল !
অক্টোবর ২৭ ২০২২, ১৫:৫৮
নাজমুল হক মুন্না, উজিরপুর ॥ বরিশালের উজিরপুরে উদ্বোধনের পূর্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কালভার্টে বড় ধরণের ফাঁটল দেখা দিয়েছে। উইনওয়ালসহ যে কোন মুহুর্তে রাস্তার একাংশ বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে ২৫ অক্টোবর রাতের আঁধারে সিমেন্ট বালু মিশিয়ে মেরামতের চেষ্টা।
সকালে বালু ফেলে ঢেকে দিচ্ছেন শ্রমিকরা। গতকাল ২৬ অক্টোবর দুপুর ১২টায় ছুটে আসেন বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম মুন্না ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই ব্রীজ নির্মাণের হেড মিস্ত্রী আলীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মিঠু হাজারীকে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গতকাল সকাল থেকেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুপারভাইজার মিজানুর রহমান উপস্থিত থেকে ফাটলের স্থান থেকে বালু সরিয়ে পুনঃ মেরামতের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে সড়ক ও জপনথ বিভাগের ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ের ৬ মিটার আরসিসি কালভার্টটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিঠু হাজরা নামক এক ব্যক্তি। তিনি চলতি বছরের ২৮ আগষ্ট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শুরু থেকেই কালভার্টটি নিয়ে দূর্নীতি, অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ নিয়ে অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেও টনক নড়েনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এ ব্রীজটিতে ৪টি উইন ওয়াল থাকার কথা থাকলেও ১টি উইন ওয়াল দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্লাব ঢালাইয়ের সময় সেন্টারিং এর কাজে সরু সরু মেহেগনি গাছের খুঁটি দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে সিত্রাং ঝড়ের পরে ব্রীজের এপ্রোচের বালুর চাপে উইন ওয়াল ফেটে বড় ধরণের ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং রাস্তার একাংশ দেবে যায়।
এ ব্যাপারে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আল আমিন সাংবাদিকদের জানান, আমরা ঠিকাদারকে সম্পূর্ণ বিল দেইনি। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ সুমনকে তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কাউন্সিলর খবির উদ্দিন হাওলাদার জানান, উজিরপুরের সাথে একমাত্র এই সড়কটিতে উপজেলা পরিষদের সামনে একটি কালভার্ট ব্রীজ নির্মাণ হয়েছে যা শুরু থেকেই নিম্নমানের এবং বড় ধরণের ফাঁটল দেখা দিয়েছে। রাতের আঁধারে ফাঁটল মেরামত করতে দেখে খুবই কষ্ট লেগেছে। ব্রীজটি দ্রুত মেরামত করে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।