ছাত্র জনতার আন্দোলনে

শেবাচিমের ৪৬ জন ট্রলি ম্যানকে বহিষ্কার

আগস্ট ১০ ২০২৫, ১৮:১৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: ছাত্র আন্দোলনের জের ধরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৬ জন স্বেচ্ছাসেবী ট্রলি ম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এছাড়া টানা দুই সপ্তাহ ধরে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র জনতার আন্দোলন ও তাদের দাবির প্রেক্ষিতে হাসপাতালের ৪৬ জন স্বেচ্ছাসেবী ট্রলি ম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া রোগী বহনের সকল পুরাতন ট্রলি মেরামত ও নতুন করে আরো ট্রলি প্রদান করা হয়েছে। একইভাবে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে ৭টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এই মনিটরিং টিম সকাল, বিকাল ও রাতে হাসপাতালের বহিঃ ও অন্তঃ বিভাগে মনিটরিং করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ১০০টি সিলিং ফ্যান লাগানোর এবং হাসপাতালের সকল টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করেন, বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলা ছাড়াও ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ কিয়দাংশ ও খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার অনেক রোগীসহ দেড় কোটি মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল। ১৯৬৮ সালে মাত্র ৫০০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে নির্মিত হয়ে ছিল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি। ৫৮ বছর পর হাসপাতালটির অবকাঠামোগত তেমন উন্নতি হয়নি। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন নতুনভাবে ৭শ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

ফলে হাসপাতালে অন্তঃ বিভাগে ভর্তি থাকেন প্রায় ৩ হাজার রোগী। বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার রোগী। প্রতি ১ জন রোগীর সাথে তাদের স্বজন কিংবা দর্শনার্থী আসেন ৩ জন করে। মোট ৬ হাজার রোগীর সাথে ৩ জন করে স্বজন কিংবা দর্শনার্থী যোগ করলে ২৪ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এ হাসপাতালে। এর সাথে হাসপাতালের ৫শ জন চিকিৎসক, ১ হাজার জন নার্স, হাসপাতালের প্রায় ৫শ অন্যান্য স্টাফ, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, আইএইচটি শিক্ষার্থী, নাসিং কলেজের শিক্ষার্থীসহ আরো ৬ হাজার সেবাদানকারী রয়েছে। ২৪ হাজার রোগী ও দর্শনার্থীর সাথে ৬ হাজার মিলিয়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এ হাসপাতালে।

কিন্তু অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি না হওয়ায় মানুষের অতিরিক্ত চাপে হাসপাতালের টয়লেট ও পরিবেশ নোংড়া হওয়াসহ সর্বক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। শয্যা তুলনায় ছয় গুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা নিতে হয় মেঝে কিংবা বারান্দায়। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।

এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর জানান, শেবাচিমের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই নানান পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। শিগ্রই এ হাসপাতালের সেবার মান আরো উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও