বরিশালে মেয়র খোকন-সাদিক অনুসারীদের সশস্ত্র মহড়া, উত্তেজনা
জুলাই ০১ ২০২৪, ১৯:৩০
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এই মহড়া চলে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তথ্য মতে, চলতি বছর বরিশালের একতলা লঞ্চ ঘাট ও বালুর ঘাটের ইজারা পায় সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীরা। সাবেক ইজারাদার আবুয়াল হেসেন অরুন বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী। তিনিসহ মেয়র খোকনের অনুসারীরা ঘাটের দখল ছাড়তে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নতুন ইজারাদার যাতে ঘাট দখল করতে না পারে সেজন্য সকাল থেকে সাবেক ইজারাদার আবুয়াল হেসেন অরুন সকাল থেকে লোকজন নিয়ে টার্মিনালে অবস্থান করছিলেন। এসময় নতুন ইজারাদারের লোকজন ঘাটের দখল নিতে টার্মিনালে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর পরেই দুইপক্ষ অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়। এসময় বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারীরা লঞ্চঘাটের সবকটি গেট আটকিয়ে সশস্ত্র হয়ে ভেতরে অবস্থান নেয়। লঞ্চঘাটের মূল গেটের বাইরে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা অবস্থান নিলে গালাগাল ও ধাওয়া পালটা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মেসার্স হাসিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়ম মাফিক দরপত্র আহ্বান করলে আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছি। তবে ঘাটের দখল ছাড়ছেনা বর্তমান মেয়রের অনুসারীরা। আমি বৈধ ইজারাদার হয়েও ঘাটে যেতে পারছিনা।
হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএ-এর বরিশাল পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় মাসিক দশ হাজার টাকা সরকারি ফান্ডে দিয়ে অবৈধভাবে কোটেশন করে বর্তমানে ঘাট পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে জড়িত রয়েছে বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী অরুন হাওলাদার ও খান হাবিব। বিষয়টি আমি প্রশাসনের সবমহলে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। এমনকি পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ঘাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

বর্তমান মেয়র খোকনের অনুসারী মির্জা আবুয়াল হেসেন অরুন বলেন, ঘাটের ইজারা আমাদের প্রতিপক্ষরা পেয়েছে। তবে আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা তাদেরকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সমঝোতা বৈঠকে আসেননি তারা। এ বিষয়ে বরিশাল নৌ বন্দরের পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাককে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন, লঞ্চঘাটে দখল নিয়ে দুই গ্রুপের উত্তেজনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।









































