বরিশালে অবৈধ ৪৮ বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটিও বন্ধ হয়নি
ফেব্রুয়ারি ২৭ ২০২৪, ১৭:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৪৮টি অবৈধ বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের একটিও বন্ধ হয়নি। লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ গত ২৬ জানুয়ারি এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে দ্রুত বন্ধ করার জন্য চিঠি দেয়। তবে সে চিঠির কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।
এর মধ্যে বরিশাল জেলায় লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক রয়েছে ১১টি, ভোলায় ৭টি পটুয়াখালীতে ৪টি, বরগুনায় ১৮টি ও পিরোজপুরে ৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধে কার্যকর সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এগুলো বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ১২ জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে, বাস্তবতা হলো মাঠ পর্যায়ে কাজ এখনো শুরু হয়নি।
বরিশালের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানিয়েছেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার বন্ধে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আর বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বলেছেন, ‘বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদেরকে এখন পর্যন্ত কিছুই অবগত করেনি।’ তবে, অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে মন্থর গতিতে ক্ষিপ্ত বৈধ ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জেলা সিভিল সার্জন। একার্যক্রম অব্যাহত থাকার কথা জানিয়ে বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানিয়েছেন, এটি আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রম। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটছে।
সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসকদের সম্মতি পত্র, অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ যদি থাকে তবে ডিগ্রিধারী থাকতে হবে। এসব নির্দেশনা না মানলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষ যাতে মানসম্মত চিকিৎসা পায় সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে।
এ সময় হাসপাতাল গুলোর বিভিন্ন কাগজপত্রে অনিয়মের পাশাপাশি রোগীদের সেবা প্রদানে নানা অনিয়ম ধরা পরে। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।









































