হাটু পানির নিচে নগরী
আগস্ট ০৭ ২০২৩, ১৯:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে তিন দিনের অতিভারি বৃষ্টিপাতে বরিশাল নগরীর অধিকাংশ সড়ক হাটুপানির নিচে চলে গেছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। সড়কের পাশাপাশি নগরীর নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। তারা ঘরবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া মানুষ বাইরেও বের হচ্ছে না। শ্রমজীবীরা চরম ভোগান্তির পড়েছে। জানা যায়, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারনে টানা বৃষ্টির পানি অপসারণ না হওয়ায় নগরীর অধিকাংশ প্রধান সড়কসহ অলিগলি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নগরীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছে।

অতিভারি বৃষ্টিতে সদর রোড, বগুড়া রোড, কালিবাড়ি রোড, কলেজ অ্যাভিনিউ, কলেজ রোড, জিয়া সড়ক, ব্রাউন কম্পাউন্ড, গোরস্থান রোড, কাশিপুরের বিভিন্ন সড়ক, প্যারারা রোড পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও আগরপুর রোড, শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেন, ফকিরবাড়ি রোড, বটতলা সড়ক, পলাশপুর, রসুলপুর, বেলতলা, পদ্মাবতী, রূপাতলী হাউজিং, কাউনিয়ার অধিকাংশ সড়ক, ধানগবেষণা রোড পানির নিচে রয়েছে। শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দা ইফতি তাহমিদ জানান, আমাদের এলাকার প্রত্যেকটি ঘরে পানি উঠে গেছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে আছে। হাটাচলা করা যায় না।
অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারনে পানি আটকে এই দুর্ভোগের তৈরি হয়েছে। কলেজ অ্যাভেনিউর বাসিন্দা এলবার্ট রিপন বল্লভ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। টানা বৃষ্টির কারনে বসতঘরে ঘরও পানির নিচে তলিয়ে আছে। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বশির আহাম্মেদ জানায়, দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নদী বন্দরের জন্য ১ নম্বর ও সমুদ্র বন্দরের জন্য ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।এধরণের আবহাওয়া আগামী ৪৮ ঘন্টা বিরাজ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বশির আহম্মেদ আরও জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু প্রবলভাবে সক্রিয় থাকায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আষাঢ় মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় শ্রাবণ মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে।









































