নেছারাবাদের ৪ টি খেয়াঘাটে টাকা আদায় হলেও কোষাগার শূন্য

জুলাই ১৫ ২০২৩, ১৯:৪৫

আজিজুল ইসলাম, পিরোজপুর ॥ পিরোজপুরের নেছারাবাদে বলদিয়া ইউনিয়নে ৫ টি হাট বাজার ও ৬ টি খেয়াঘাট ২ টি কুদঘাট থাকলেও কোন রাজস্ব পায়না ইউনিয়ন পরিষদ। এলাকাবাসীর অভিযোগ খেয়াঘাট গুলোর ইজারা দিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন। শুধুজিলবাড়ী খেয়া ঘাটের ডাক দিয়ে চলতি বছর ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।

চেয়ারম্যান ৩ টি ঘাট থেকে ৫২ হাজার এবং একটিঘাট থেকে প্রতিদিন ২০০ বা ২৫০ টাকা করে পান বলে স্বীকার করলেও কোন টাকা পয়সা ক্যাশ বইতে জমা করা হয়নি। এমনকি কোন রেজুলেশনও নেই। ২০০১ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের খাতাপত্র ঘেটে জানাযায় ২০১৯ সালে ২০ হাজার টাকা জমা আছে।

এছাড়া আর কোন টাকা পয়সা জমা নেই।পরিষদের সচিব আতিকুল ইসলাম দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে জানা গেছে, গত মঙ্গলবারসহ বেশক’দিন বলদিয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন হাট বাজার ও খেয়া ঘাট ঘুরে জানাযায় সব চেয়ে বেশি টাকার ডাক হয় জিলবাড়ী(জিরবাড়ী) খেয়া ঘাটে। ওই ঘাটের এবছর যোগাযোগীর মাধ্যমে ডাকহয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ইজারা নেন কবির হোসেন ও মিঠু মিয়া। মিঠু মিয়া সাংবাদিকদের স্বাক্ষাত দিতে রাজিহন নি।

তিনি বারবারই বলেন চেয়ারম্যান সাহেব বলবেন। তার অংশীদার কবির হোসেন বলেন, তার ভাগের অর্ধেক ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চেয়ারম্যান সাহেবকে দিয়েছেন।ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাঝিরা গোপনে গোপনে গিয়া ডাক আনে আমাকে জানায়না। কত দিয়ে ডাক দিয়েছেন তা চেয়ারম্যান সাহেব ভাল জানেন।

চৌদ্দ রশি খেয়াঘাটের বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই ঘাট থেকে লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এলাকার মেম্বার সামসুল হক জানান এপাড়ের মসজিদে ১৫ হাজার ও পশ্চিম পারের মসজিদে ১০ হাজার টাকা এবং এলাকার আওয়ামীলীগের অফিস ভাড়া বাবদ বছরে ৭/৮ হাজার টাকা দেন। বাকী ৪০/৪৫ হাজার টাকা চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে আছে এ পর্যন্ত আমি জানি। মেম্বার মিজানুর রহমান ও সামসুল হক আরো বলেন, আমাদের সম্মানী বাবদ চেয়ারম্যান সাহেব সব মেম্বারদের ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেণ। এবং কাগজ পত্রে সই স্বাক্ষরও নিয়েছেন।

এ ছাড়া কাটাপিটানিয়া ও লেবুবাড়ী দুটি খেয়াঘাট এলাকাবাসী ধান ও বার্ষিক হিসেবে টাকা দিয়ে চালায়। কাটাপিটানিয়ার ও কাটাখালী খালের মুখে টোল (কুদ) আদায় করা হয়। ওই ইউনিয়নের সব গুলো হাটের ইজারা ভূমি অফিসের তত্বাবধানে খাস কালেকশন করা হয়। এসব বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.সাইদুর রহমানের সাথে তার অফিসে কথা বললে তিনি জানান, হাট বাজার থেকে কোন রাজস্ব পাননা। সব গুলো হাট বাজার খাস কালেকশন করা হয়।

জিলবাড়ী খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে জটিলতায় আছি। কোন ডাক দেওয়া হয়নি। টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে স্বীকার করেন ওদেরকে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে জমা দিতে বলেছিলাম ওরা ২৫০ টাকাও দেয় আবার ২০০ টাকা করেও দেয়। বৈঠাকাটা খেয়াঘাট থেকে ১৫ হাজার, মেধাঘাট থেকে ২ হাজারএবং চৌদ্দরশিঘাট থেকে দুই পারের মসজিদে ও এলাকার আওয়ামীলীগের অফিস ভাড়া বাবদ কিছু টাকা দিয়ে ৩৫ হাজার টাকা পেয়েছি। সব টাকাই অফিসে জমা আছে। আপনার সচিব বলেছেন অফিসে কোন টাকা পয়সা জমা হয়নি।

এমন প্রশ্নোর জবাবে তিনি বলেন,উনি বলতে পারেন আমি জানিনা।কাটাখালী ও কাটাপিটানিয়ার খালমুখ থেকে কোনটাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, এভাবে কোন খেয়াঘাটের টোল আদায় করা বা ডাক দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে সহকারীক মিশনার (ভূমি) তাপষ পাল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও