কলেজ ছাত্রলীগ কমিটিতে শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি
এপ্রিল ১৪ ২০২৩, ১৮:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ॥ সম্মেলন শেষ হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর বরগুনার বেতাগী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দেওয়া হলেও এড়িয়ে যেতে পারেনি বিতর্ক।
এ কমিটিতে এক নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক পদটি পেয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি অর্ক বিশ্বাস।
তিনি বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জহির বিশ্বাসের ছেলে। বেতাগীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে অপকর্ম বিষয়টি যেন ‘ভাই-ভাই সম্পর্ক’। এই সম্পর্কের কারণেই বেতাগী ছাত্রলীগ বিতর্ক এড়িয়ে চলতে পারে না।
গত ৯ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগ আগামী এক বছরের জন্য বেতাগী পৌরসভা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দেয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষরিত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অর্ক বিশ্বাসকে রাখা হয়। তিনি গত বছরের একটি আলোচিত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি।
জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ১৭ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে বেতাগী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(০১) ধারা অনুযায়ী মামলা করেন তার বাবা, মামলা নম্বর ০৯/১৮.১১.২২।
পরের মাসের ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় অর্ক বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়, চার্জশিট নম্বর ১৪৪/২২। এ ছাড়া তার পরিবার জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানা গেছে।
এদিকে এত বড় সংগঠনে শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি কিভাবে জায়গা পেল তা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতা-কর্মী প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার পরও মেলেনি অনেকের পদ। অন্যদিকে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামিকে রাখা হয়েছে, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
সাবেক ছাত্রনেতারা শঙ্কার কণ্ঠে জানান, বর্তমানে সঠিক নেতৃত্ব বাছাইয়ের নামে চলছে তামাশা। যে যত লবিং করতে পারছে, সে-ই এগিয়ে আছে আলোচনার মাঠে।
প্রকাশিত দুই ইউনিট কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদক বাদে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের অনেকেই অল্পদিন রাজনীতি করা ছেলে। তারা কর্মী থেকে নেতা হতে পারেননি, তারা লবিং থেকে নেতা হয়েছেন।
এই বিষয় নিয়ে অর্ক বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি উত্তর না দিয়ে চলে যান। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, কমিটিতে নাম যুক্ত করার সময় এ রকম অভিযোগ পাইনি। তবে যদি কেউ সংগঠনবিরোধী বা অপকর্মে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।









































