বিএনপি সুযোগ পেলে লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেলবে : মৎস্য মন্ত্রী
জানুয়ারি ১১ ২০২৩, ১৭:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বিএনপি সুযোগ পেলে লাখ লাখ মানুষকে মেরে ফেলবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পরও বিএনপি অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে তাকে সাসপেক্ট করেনি। তারা এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যদি সেই সুযোগ পায় বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে একদিনে মেরে ফেলবে।
দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের অপরাধী হিসেব চিহ্নিত করা হবে। তাদের জেলে পাঠাবে। মৃত্যুদন্ড দিবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে “সম্প্রীতি বাংলাদেশ” এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন। বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েচিল ছাত্র জীবন থেকে। যে দেশ আমরা পেয়েছি সেই বাংলাদেশের রুপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো। তিন যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন সেদিন বাংলাদেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু বিনাশ হয় না, কোন একজন খ্যাতিমানের মৃতু মধ্যে দিয়ে সবকিছু বিনাশ হয় না। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, দর্শন, আর্দশ, পথচালার পাথেয় ও অবিনাশী সত্ত্বা। বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, নিপীড়িত মানুষরা যখনই পথ হারাবে, পথ খুজতে হলে বঙ্গবন্ধু জীবনালেখ্য, তার সংগ্রামী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা খুজে পাওয়া যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে তার কন্যা শেখ হাসিনা দুর্বার গতিতে কাজ করছেন। সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দাঁড়ানো, উন্নয়নকে অভিষ্ট লক্ষে নিয়ে যাওয়া, সংবিধান অনুসারে সব অধিকার পাওয়া সম্পদের মালিক হবে জনগণ যেটা উল্লেখ আছে, সেটা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, কয়েকজন রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধীদের ফাঁসি দিয়ে সমস্ত সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশ করতে পারনি। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্তরসুরীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে, রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে সব জায়গায় ছদ্মভাবে আছে। কেউ কেউ নব্য আওয়ামীলীগ হয়েছে, কেউ কেউ আমাদের চেয়ে বেশি জয় বাংলা স্লোগান দেন। কিন্তু মৌলিক চরিত্র তাদের ভিতরে সুপ্ত আছে। সময় হলে তারা সেই চরিত্র নিয়ে হাজির হবে।
তাই ১০ জানুয়ারিকে উদযাপন করা সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষের ঐক্য দরকার।
রেজাউল করিম বলেন, যখন নির্বাচন সামনে আসে তখন নৌকাকে ঠেকানোর জন্য আওয়ামী বিরোধী ও আওয়ামীলীগ দুটি দল হয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় নানাজন নানা দল করে, কিন্তু ভোট আসলে বাম প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এক হয়ে যায়। তারা নৌকা বিরোধী নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। মুক্তিযোদ্ধের চেতনা ঠেকানোয় তাদের মুল লক্ষ্য।
বিএনপি সুযোগের অপেক্ষায় আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা সেই বাংলাদেশ যেখানে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পরও বিএনপির অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে সাসপেক্ট করা হয়নি।
তারা এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যদি সেই সুযোগ পায় বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ একদিনে মেরে ফেলবে। দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের অপরাধী হিসেব চিহ্নিত করা হবে। তাদের জেলে পাঠাবে। মৃত্যুদন্ড দিবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার।
বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়াসহ প্রমুখ।
আ/ মাহাদী









































