বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে
বদলে গেছে জীবন
অক্টোবর ০৯ ২০২৩, ২০:৪৯
আরিফ হোসেন ॥ যাদের এক সময় ছিলোনা মাথা গোজার কোন ঠাঁই। থাকতো রাস্তায় রাস্তায় অথবা অন্যের আশ্রয়ে। শুধু তাই নয় রোদ বৃষ্টি ঝড়ের মধ্যে থাকতে হত ভয়ের মধ্যে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে এখন দক্ষিণাঞ্চলসহ বরিশালে অসহায় সুবিধাভোগীরা এখন স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন।

বাড়ির আঙ্গিনায় করেছে কৃষি খেত, লালন পালন করছে হাস, মুরগী। সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের। এতে খুশি সুবিধাভোগীরা। তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষন ও অর্থিক সাহয়তা দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, বরিশালে ভূমিহীন-গৃহহীন প্রায় ৫হাজার ৯ শত ৩৫ জন পরিবারের মাথা গোজার ঠাই হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে। তারা এখন ঘরের আঙ্গিনায় করেছে কৃষি খেত,লালন-পালন করছে হাঁস-মুরগিসহ সন্তানদের পড়াশুনা কারাচ্ছে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলে। এতে খুশি ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকরা।

বরিশাল সদর উজেলার ১৩৩নং সাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা খানম বলেন, যাদের এক সময় মাথা গোজার ঠাই ছিলো না। তারা এখন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশি। পাপাশি আমাদের স্কুলেও পড়াশুনা করাচ্ছে তাদের সন্তানদের। এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানান ধন্যবাদ। এদিকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে থাকা সুবিধাভোগীরা জানান, এক সময় আমাদের মাথা গোজার ঠাই ছিলো না।

এখন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে আমরা খুশি তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মনপ্রায় থেকে জানাই ধন্যবাদ। বরিশাল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. রেজাউল হাসান বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকা সুবিধাভোগীদের মানীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুষ্টি বাগনসহ চারা দিয়ে সহয়তা করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জীবনমানের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষন এবং ঋনদান কর্মসূচির মাধ্যমে ভূমিহীনদের স্ববলম্বী করা হচ্ছে সরকারের মাধ্যামে। বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম.জাহাঙ্গীর বলেন, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়ার কারনে আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকায় মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনবে। বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলায় প্রথম পর্যায় ১৫ শত ৫৬টি, ২য় পর্যায় ৫ শত ৪৯ টি, ৩য় পর্যায় ১ হাজার ৮ শত ৫৬টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১ হাজার ৬ শত ৫৪ টি ঘর দেওয়া হয়েছে।









































