হঠাৎ বন্ধ বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ
সেপ্টেম্বর ০৬ ২০২৩, ২০:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল পাকিস্তান। উইকেটে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং ফখর জামান। তবে ৫ম ওভার শেষেই মাঠ ছেড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। গ্যালারিতে জ্বলে ওঠে দর্শকদের মোবাইল ফোনের আলো।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচে এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী ফ্লাডলাইট। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট যথাযথ কাজ না করায়ই মূলত মাঠ ছাড়েন খেলোয়াড়রা।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফদের গতির আগুনে পুড়ে ১১ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাসিম শাহর বলে শূন্য রানে ফেরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মেহেদী হাসান মিরাজ। আর পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস।
পাকিস্তানের বোলিং স্পেল শাহীন ও নাসিম শুরু করলেও অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন গতিময় পেসার হারিস রউফ। এসেই তোপ দাগেন বাংলাদেশ শিবিরে। দারুণ খেলতে থাকা মোহাম্মদ নাঈমকে কট এন্ড বল করেন হারিস। দশম ওভারে হারিসের করা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে আবারও বাংলাদেশের উইকেট পতন।
এবার তাওহীদ হৃদয়কে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া দলকে এরপর টেনে তোলেন সাকিব-মুশফিক। দুজনে মিলে কাটায় কাটায় ১০০ রানের জুটি গড়েন।
১৪৭ রানে সাকিবের পতনের পর (৫৩) পর শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। ১৭৪ রানের শামীমের পতনের পর শুরু হয় মড়ক। ১৯ রান তুলতেই হারায় শেষ ৫ উইকেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
৬ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন হারিস। ৫ ওভার ৪ বল করে নাসিমের উইকেট সংখ্যা ৩টি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন, ইফতিখার আহমেদ এবং ফাহিম আশরাফ।








































