টিএন্ডটি অফিস নয় যেন ময়লার ভাগাড়
নভেম্বর ০২ ২০২৫, ১৮:৫৬
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এক সময়ের নাম করা গুরুত্বপূর্ণ টিএন্ডটি অফিসটি এখন জরাজীর্ণ ভবনে পরিণত হয়েছে। রাস্তার পাশে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দায় সেরেছে। সাইনবোর্ডে লেখা ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
কিন্তু ডিজিটালের কোন ছোঁয়া লাগেনি বরং মলিন হয়ে পড়েছে। এমনকি এই এক্সচেঞ্জের নাম অনুযায়ী রাস্তার নাম হয়েছে টিএনটি রোড। পুরো জায়গাটাই পড়ে রয়েছে অরক্ষিত অবস্থায়। একজন কর্মচারী জেলা থেকে এসে মাঝে মাঝে কাজ করেন বলে দাবি করেন।
পিরোজপুরের বিটিএসএল অফিস সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে ভবনটি টিএন্ডটি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ২০০২ সালে এটি ডিজিটাল হয়েছে। বর্তমানে যে সকল সেবা রয়েছে টেলিফোন সেবা, এল এল আই সেবা।বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সরকারি হাসপাতাল, নির্বাচন কমিশন অফিসসহ ৩০টি টিএন্ডটির লাইন রয়েছে। বিটিসিএল অফিসে দাবী লোকসংকট রয়েছে। একজন কর্মচারী দেয়া হয়েছে নানা সংকটের কারণে সেখানে সে থাকতে পারে না। তাই জেলা থেকে গিয়ে কাজ করেন। আমরা আবর্জনার বিষয়টি জানি বিভিন্ন সময়ে পৌরসভার সহযোগিতা নিয়ে পরিষ্কার করি।
বিটিসিএল এর পিরোজপুর জেলার জুনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, আবর্জনার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে আমরা বিভিন্ন সময়ে পৌরসভার সহযোগিতা নিয়ে পরিষ্কার করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের ৩০ টি সংযোগ রয়েছে। তাছাড়া মেন সড়কে কালভার্ট করার জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি কারণে আমাদের লাইনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অফিস এরিয়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাব।
সেবা গ্রহণকারী নিউ মার্কেট একালার বাসিন্দা সাংবাদিক রফিকুজ্জামান আবীর বলেন, ১৯৮৮ সালের দিকে টিএনটি’র একটি ল্যান্ডফোন লাইন নিয়েছিলাম যার কোড -১০২ । ২০০২ সালের ডিজিটাল হওয়ার পরেও লাইনটি ছিল। পরবর্তীতে সেবা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে এক সময়ে লাইন কেটে দিয়েছি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবদুল কাইয়ূম বলেন, অফিসটি সচল ও পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আমার কাছে সহযোগিতা চাইলে আমি অবশ্যই করবো। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি যেহেতু আপনি নলেজে দিয়েছেন আমি ভিজিট করে দেখব।









































