বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৯ দিন ধরে প্রেমিকার অনশন

নভেম্বর ০৯ ২০২৫, ১৮:৩৯

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: “আমি একটি এনজিওতে চাকরি করি। আমার জীবন খুব স্বাভাবিকভাবে চলছিল। হঠাৎ ফেসবুকে আলীর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। সেই থেকে তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমাকে সে বিয়ে করবে এই আশ্বাসে আমি আমার সনাতন ধর্ম পরিবর্তন করে কোর্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। তার চাওয়া অনুযায়ী তাকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে অর্থ দিয়েছি। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে মৃত্যু ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।”

কান্নাজড়িত কণ্ঠে হতাশাভরে কথাগুলো বলেন স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার নান্দোয়হান গ্রামের নারায়ণ মণ্ডলের মেয়ে সঞ্চিতা মণ্ডল (২৬)।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের চর-সাউদখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় বিয়ের দাবিতে চর-সাউদখালী গ্রামের কবির হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদারের (১৭) বাড়ির সামনে ৯ দিন ধরে অনশন করছেন প্রেমিকা সঞ্চিতা মণ্ডল (ফাতেমা)। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অনশনরত সঞ্চিতা মণ্ডল (ফাতেমা) বলেন, দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আলীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। বিয়ের আশ্বাসে আলী আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন এবং সুসম্পর্কের সুযোগে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আলী তার পরিবারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান এবং সম্প্রতি ভারতে চলে যান। পরে আমি তাকে ভারত থেকে দেশে আনার জন্য বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। এরপর থেকে সে আমার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

প্রেমিক আলী হাওলাদারের মা রেশমা বেগম বলেন, “ছেলে এখন ভারতে আছে, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।”

প্রেমিক আলী হাওলাদারের ভারতীয় মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও