বাবুগঞ্জের মাদক ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
আগস্ট ০৭ ২০২৫, ২২:১৬
আরিফ হোসেন,বাবুগঞ্জ : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত কাঞ্চন মৃধার ছেলে সাইদুল ইসলাম শহিদ ওরফে পর্চা শহিদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন।
৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে দুই দফায় চাঁদপাশ ময়দানের হাট -বরিশাল সড়কের দক্ষিণ গাজীপুর এলাকায় ওই ঝাড়ু মিছিলে এলাকার ভুক্তভোগী নারী, পুরুষ ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ গাজীপুর মৃধা বাড়ীর জামে মসজিদের সামনের রাস্তার ধারের ৬৫ শতাংশ জমিতে রোপিত ধানের বীজ নষ্ট করে ও ওই জমিতে আদালতের নির্দেশনা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে পর্চা শহিদ। বিষয়টি জানতে গেলে একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে মারধর করায় ক্ষিপ্ত হয় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। ঝাড়ু নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে মহিলারা।
স্থানীয় শিল্পপতি কাজল খানের নামে ওই ৬৫ শতাংশ জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে দখল দেলওয়ার পায়তারায় ছিলো শহিদ। বিষয়টি আদালতে গড়ালে আদালত বিবাদীদের জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। জানাযায়, একাধিক ভূমি সংক্রান্ত কাগজ জাল জালিয়াতির মামলায়, বেশ কয়েকটি মাদক মামলা, নির্মানাধীন মসজিদের রড চুরি ও মোটরসাইকেল চুরি মামলায় জেলে খেটেছে পর্চা শহিদ। চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর স্বাক্ষর জাল করে ধরা পরায় তাকে কানধরে উঠবস করালেও থেমে নেই তার কুকর্ম।
স্পষ্ট কোন কাজ না করলেও বাড়ীতে সিসি ক্যামেরা সেট করে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট তৈরি করেছে শহিদ বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার একাধিক সূত্র। ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ শেষে স্থানীয়রা বলেন, চাঁদপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জমিজমার ভূয়া দলিল, পর্চা, রেকর্ড তৈরি করাই তার নেশা ও পেশা। তার কাছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ভূমি কর্মকর্তাসহ সকল পর্যায়ের সিল রয়েছে। ফলে অত্র অঞ্চলে পর্চা শহিদ নামেই পরিচিতি পায় সে। ঢাকার বস্তিতে বড় হয় শহিদ।
২০১৩ সালে এলাকায় এসে চিটারি,বাটপারি শুরু করে সে। প্রথমে সে নিজ চাচার জমির কাগজ ভুয়া তৈরি করা মামলায় ৩ মাস জেল খাটে। তখন আদালতে মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বের হয়।
পরে একের পর এক জাল দলিল, ভূয়া রেকর্ড ও পর্চা তৈরি করে প্রভাবশালীদের সাথে নিয়ে বেশ কয়েকটি জমি দখল করে। গত বছর ৫ আগষ্টের আগে পর্চা শহিদ পুলিশের ও প্রাভাবশালীদের সেল্টারে এসব করে বেরায়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী এয়ারপোর্টে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়ে আসেন। এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির সিকদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।









































