পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা, নেই কাঙ্ক্ষিত বুকিং
জুন ১৬ ২০২৪, ১৭:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রয়েছে টানা ছুটি। এই ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি, থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জোরদার করা হয়েছে উদ্ধার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে কুয়াকাটা সৈকত ব্যবসা-বাণিজ্যে রিমালসহ অতীতের সকল ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
রোববার (১৬ জুন) কুয়াকাটা সৈকতসহ বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যায়, পর্যটক বরণে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ঈদের প্রথম দুই দিনে তেমন বুকিং না থাকলেও আগামী ১৯ জুন থেকে রয়েছে বিভিন্ন হোটেলের বুকিং।
ঈদের পরে পর্যটকের ঢল নামবে এমন বিশ্বাস ব্যবসায়ীদের। তাই যারা ঘুরতে আসবেন, তাদের জন্য পর্যটন এলাকাগুলো আরও আরামদায়ক ও মনোরম করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকদের সেবা দেওয়া ১৬টি পেশার ব্যবসায়ী ও কর্মীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। তবে আশানুরূপ অগ্রিম বুকিং না পাওয়ায় কিছুটা হতাশায় রয়েছেন অনেক ব্যবসায়ীরা। ঘূর্ণিঝড় রিমাল এবং অতিরিক্ত তাপদাহের প্রভাবে এ বছর আশানুরূপ পর্যটক আসেনি কুয়াকাটায়। বর্ষার আগে ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটক আসবে কুয়াকাটায় এটাই ছিল আমাদের আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সবার চোখে মুখে শুধু হতাশা।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) জয়েন্ট সেক্রেটারি আবুল হোসেন রাজু বলেন, বর্তমানে হোটেল-মোটেলগুলো ধুয়ে মুছে একবারে পরিপাটি করা হয়েছে। তবে তেমন কোন পর্যটক না থাকায় সৈকত দীর্ঘদিন ফাঁকা, পুরো এলাকা ঝকঝক করছে। বর্ষার শুরুতে সৈকতে উঁচু উঁচু ঢেউ, এ দৃশ্য নজর কাড়বে সব বয়সী মানুষের। এসব কারণে ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুদের আগমন ঘটবে এমনটাই সবার আশা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন এর কোষাধক্ষ্য ও হোটেল খান প্যালেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খান বলেন, প্রতিবছর এইসময় আমাদের অধিকাংশ হোটেল এবং রিসোর্ট গুলোর রুম বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত তেমন কোন বুকিং নেই। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের হোটেলের ৫০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করছি কুয়াকাটা সব হোটেল গুলোতেই বুকিং বাড়বে এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে পর্যটকে মুখরিত থাকবে কুয়াকাটা। তবে সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে কুয়াকাটায়।
সী বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত থাকবে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সেবা দেয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।









































