ঘুর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে
৫০ লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট ॥ ১১ ঘর বিধ্বস্থ
নভেম্বর ১৮ ২০২৩, ১৯:০৫
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।। ঘুর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে আমতলী উপজেলায় ৫০ লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট, ১১ কাঁচা ঘর বিধ্বস্থ, হাজারখানেক গাছপালা, আমন ধানের ক্ষেত, সবজি ও পান বরজ ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। আর্থিক সহায়তার দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা ।
জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি আমতলী উপজেলায় বেশ তান্ডব চালায়। এতে উপজেলার ২১টি ইটভাটার ৫০ লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট, ১১ কাঁচা ঘর বিধ্বস্থ, ২৩৪ হেক্টর আমন ধানের ক্ষেত, ৭৬ হেক্টর সবজি, ৪৫০ হেক্টর খেসারী ডাল ও ৫ হেক্টর জমির পান বরজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে অন্তত ৫ কোটি ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। উপজেলার অর্ধ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ঈশা।
রেইন্টি, চাম্বল ও মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির হাজারখানেক গাছ উপড়ে পরায় অন্তত ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের বশির বয়াতির গোয়াল ঘরে গাছ পড়ে দুইটি গরু মারা গেছে। এতে তার অন্তত এক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইটভাটার মালিকরা জানান, বছরের শুরুতেই কাঁচা ইট বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হবে। ক্ষতিগ্রস্থরা দ্রুত আর্থিক সহায়তার দাবী জানিয়েছেন।
শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ঘর আংশিক ও সম্পূর্ন বিধ্বস্থ হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পরেছে। ইটভাটার ইট বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আমন ধানের গাছ মাটিতে লুটিয়ে পরেছে।
আমতলী পৌর শহরে হাসপাতাল এলাকার বলাই ব্যাপারী ও মিল্টন ব্যাপারী বলেন, ঘরের ওপরে চাম্বল গাছ উপড়ে পরে ঘর ভেঙ্গে গেছে।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে আমন ধানের গাছ মাটিয়ে লুটিয়ে পরেছে। ওই জমির ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশী।
বশির বয়াতি বলেন, আমার গোয়াল ঘরে গাছ পড়ে দুইটি গরু মারা গেছে। জিমি ইটভাটার মালিক আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, বৃষ্টিতে ভিজে ৭ লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু বলেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে উপজেলার ২১টি ইটভাটার অন্তত ৫০ লক্ষ কাঁচা ইট বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নিার্বহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা করা হবে। তিনি আরো বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।