নির্বাচনী ফলে ঝুঁকি দেখছেন সিইসি
ফেব্রুয়ারি ২৩ ২০২৩, ২০:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো একটি বড় দল অংশ না নিলে নির্বাচনী ফলে ঝুঁকি দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন সিইসি। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন বিদেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন কোন ব্যবস্থাপনায় হবে সেই ইস্যুতে দেশের দুটি বড় দল এখনো অনড় অবস্থানে আছে। অনড় অবস্থাটা দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
যদি নির্বাচন অনড় অবস্থানের মধ্যে হয় এবং কোনো একটি বড় দল অংশগ্রহণ না করে, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বলব, নির্বাচনের মূল ফলাফলের ওপর একটি ঝুঁকি থাকতে পারে।’
তবে আগামী নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘আশা করি আগামী কয়েক মাসে হয়তো দেখব একটা রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছে এবং সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
আমাদের বিভিন্ন দল থেকে বলা হয়েছে, তারাও বিশ্বাস করেন একটি সমাঝোতা হবে। আমরাও আশাবাদী। আমরা আগামী নির্বাচনটা চাই অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে। ফলপ্রসূভাবে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেমন নির্বাচন মানা হলো না, একটি ল অ্যান্ড অর্ডার সিসুয়েশন ক্রিয়েট করে ফেলা হলো। মানুষ বিপদগ্রস্ত হলো। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। আমি সেটাই বলছি।
আমরা চাই না এ ধরনের পরিস্থিতি। সেজন্য আমরা বলব, প্রধানতম দল-সরকারে অধিষ্ঠিত দলের প্রতিও আমার আহ্বান থাকবে আপনারাও আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যান বিরোধীদলগুলোকে সঙ্গে নিতে। তারাও যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনটাকে যেন অবিতর্কিতভাবে তুলে আনতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘পুরো জাতির কাছে এই নির্বাচনটাকে যেন একটি গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে ও বিদেশে সেই স্বীকৃতি লাভ করতে পারি।
তবে কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে। বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষ মূল যে বিভক্তিটা…. ‘‘নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে’’, ‘‘নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের আমলে হবে’…। সেটার নিরসন কিন্তু এখনো হয়নি। এই প্রশ্নে কিন্তু দুটি দল এখনও অনড় অবস্থানে আছে।’
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতাটা বলতে চাই। আমরা নির্বাচন করব সংবিধানের বিধান অনুযায়ী। যেটা বর্তমানে বহাল আছে। সেভাবে আমাদের নির্বাচন করতে হবে।
একইভাবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল, প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলো যেন অতি অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে। কারণ নির্বাচনে এবং নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ইফেকটিভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে প্রত্যাশিত ভারসাম্য সৃষ্টি হবে না।’
আ/ মাহাদী









































