ওজন কমানোর উপায়
নভেম্বর ০১ ২০২২, ২২:৪৯
আজকে আমরা আমার বরিশালের স্বাস্থ্য বিভাগে ওজন কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন উপরোক্ত বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, কায়িম শ্রম কমে যাওয়াসহ নানা কারণে ওজন বাড়ছে। শরীরে বাড়তি মেদ যে কারো জন্য ক্ষতিকর। ওজন কমানোর জন্য আমরা নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। প্রাকৃতিক নিয়মেও ওজন কমানো যায়।
- আরো পড়ুন: কোমরের ব্যথা দূর করার উপায়
- আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব ভুল করবেন না
ওজন কমানোর উপায়
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতি।
১. ওজন কমাতে হলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
২. দুধযুক্ত খাবার যেমন— পনির, মাখন খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এগুলো উচ্চ চর্বিযুক্ত। মাংস ও আমিষজাতীয় খাবারও নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।
৩. বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলার অন্যতম উপাদান হচ্ছে— তাজা ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি। তাই যাদের ওজন বেশি, তাদের বেশি করে এগুলো খাওয়া উচিত।
৪. উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন— চাল, আলু নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে হবে, গম (আটা) খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৫. অতিরিক্ত স্বাদযুক্ত সবজি ও করলা ওজন কমানোর জন্য কার্যকর।
৬. মসলাজাতীয় খাবার, যেমন— আদা, দারুচিনি, কালো মরিচ এগুলো প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে। মসলাজাতীয় খাবার হলো ওজন কমানোর কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
৭. মধু দেহের অতিরিক্ত জমানো চর্বিকে রক্ত চলাচলে পাঠিয়ে শক্তি উৎপাদন করে, যা ব্যবহৃত হয় দেহের স্বাভাবিক কার্যকলাপে। মধু খাওয়া প্রথমে শুরু করতে পারেন অল্প পরিমাণে, যেমন— এক চামচ বা ১০০ গ্রাম, যা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে এর সাথে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন।
এ ধরনের চিকিৎসায় এক চামচ টাটকা মধুর সাথে আধা চামচ কাঁচা লেবুর রস আধা গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার খেতে হবে।
ফলো করুন আমাদের ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।
আমার বরিশাল/ আরএইচ