হাসপাতাল যখন নিজেই এখন রোগী !
অক্টোবর ১৫ ২০২৫, ১৬:৫৫

প্রতিদিন শতাধিক রোগী এলেও নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধ। অনেক রোগীকেই বরিশালে পাঠানো হচ্ছে, যা স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য চরম দুর্ভোগ ডেকে আনছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি থাকে ৮০-৯০ জন রোগী, অথচ চিকিৎসক আছেন মাত্র ৪ জন, নার্স মাত্র ২২ জন। অনুমোদিত ২০৭ জন জনবলের মধ্যে ১১৪টি পদই খালি।
হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকলে আলো বা ফ্যান কিছুই চলে না। মোমবাতির আলোয় রাত কাটাচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। বারান্দা, সিঁড়ি এমনকি করিডোরেও বিছানো হয়েছে বেড। রোগীরা বলছেন, মেলে না সরকারি ওষুধ, খাবারেও মানের ঘাটতি। টয়লেটের দরজা ভাঙা, কাপড় টানিয়ে ব্যবহার করতে হয়। নিরাপত্তার অভাবে নারীরা আছেন আতঙ্কে।
ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত বরগুনা জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের (বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী), যার মধ্যে পাথরঘাতেই মারা গেছেন ১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৫১ জন, এর মধ্যে ১২ জন পাথরঘাটার।
তবে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও নেই মশা নিধন কার্যক্রম, সচেতনতামূলক প্রচার কিংবা প্রশাসনের তৎপরতা। স্থানীয়রা বলছেন, ডেঙ্গু নয়, পাথরঘাটার বড় রোগ এখন অব্যবস্থাপনা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন সরকার জানান, “দীর্ঘদিন ধরেই এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ও অবকাঠামোগত সংকট রয়েছে। আমি নতুন যোগ দিয়ে চেষ্টা করছি সব সামাল দিতে। চিকিৎসা ছাড়াও অফিসিয়াল কাজ সামলাতে হচ্ছে।”
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাখাল বিশ্বাস অপূর্ব বলেন, জনবল সংকটের কারণে সেবার মান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ডাক্তারদের রুমের টয়লেটের দরজাও ভাঙা। দ্রুত সংস্কার ও নিয়োগ দরকার।
স্থানীয়দের মতে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পাথরঘাটায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে। সরকারের প্রতি জোর দাবি শুধু ডেঙ্গু নয়, বরং সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নেই এখন জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।








































