সুপারি দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা

অক্টোবর ১৩ ২০২৫, ২২:৪২

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সুপারির দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। এবার সুপারির ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে দাম কমে গেছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষক পতিত জমি ও বসতভিটার আঙিনায় সুপারির বাগান করেছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সুপারি একটি মৌসুমি ফল। এই ফলন থেকে প্রতিবছর অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন আর্থিকভাবে উপকৃত হন। সুপারি ব্যবসায়ীদের জন্যও এটি একটি লাভজনক পণ্য। অনেকে আবার সুপারি মাটির নিচে প্রক্রিয়াজাত করে রেখে দেন, যাতে পরে মৌসুম পরিবর্তনের সময় বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন।

ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে সুপারি কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন। তবে বর্তমানে স্থানীয় বাজারে সুপারির প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বাগান মালিক ও চাষিরা।

সোমবার ইন্দুরকানী সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুপারি কিনলেও বাইরের জেলার ব্যবসায়ীদের আগমন কম এবং বাজারে আমদানি বেশি। ফলে দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। যেখানে আগে প্রতি কুড়ি সুপারি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা প্রথমে নেমে আসে ৫০০–৬০০ টাকায়, আর বর্তমানে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ইন্দুরকানী গ্রামের সুপারিচাষি মনির হোসেন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে সুপারির বাগান করেছেন। এই বাগান থেকেই তাঁর পরিবারের খরচ চলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু ন্যায্য দাম না পাওয়ায় তিনি চরম হতাশ।

ঘোষেরহাট বাজারের সুপারির ব্যবসায়ী মোতালেব কবির বলেন, রংপুর, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ কয়েকটি জেলা থেকে ব্যাপক সুপারি আমদানি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় দাম পড়ে গেছে। আড়ৎদাররা আগের মতো সুপারি নিচ্ছেন না। তাই আমাদের কম দামে সুপারি কিনতে হচ্ছে।

ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ বছর আশানুরূপ সুপারির ফলন হয়েছে। তবে সুপারির দাম কেন কমে গেছে, সে বিষয়ে আমার কাছে নির্দিষ্ট তথ্য নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও