ইলিশের অতিরিক্ত দামে হতাশ ক্রেতারা

অক্টোবর ০৩ ২০২৫, ২১:৩৭

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার জন্য শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার শেষ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বাগেরহাটের কেবি বাজারে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে জেলেরা ইলিশ কম পাওয়ায় দামের মাত্রা অনেক বেশি।

এদিন সন্ধ্যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত ছিল কেবি বাজার। ট্রলার থেকে নামানো ইলিশ উন্মুক্ত নিলাম পদ্ধতিতে বিক্রির পাশাপাশি কিছু ক্রেতা সরাসরি খুচরো বিক্রি করছিলেন। এই ক্রয়-বিক্রয় চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত।

বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা কেজি দরে, এবং ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। এর থেকে ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

ইলিশ ছাড়াও এই বাজারে তুলার ডাটি, রুপচাঁদা, ঢেলাচ্যালা, কঙ্কোন, চিতল, লইট্টা, জাবাসহ নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হচ্ছে। সেসবেরও দাম তুলনামূলক বেশি।

এ কারণে ভোক্তারা অনেকটা ক্ষুব্ধ। নাগালের বাইরে দাম থাকায় অনেকেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলেরা মাছ কম পেয়েছে এবং ব্যয় অনেক বেশি হয়েছে। তাই দাম বেশি।

কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী বলেন, “এবার তুলনামূলক মাছ অনেক কম এসেছে। অনেক ট্রলার মালিকের লোকসান হবে। আসলে আমদানি কম থাকলে দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক।”

জেলেরা বলেন, “এখনই মাছ ধরার সময়। আরও দশ দিন মাছ ধরতে পারলে ভাল মাছ পাওয়া যেত।”

নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা মৎস্য বিভাগ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলে ও স্থানীয়দের সচেতন করতে সভা, সেমিনার ও মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময়ে যাতে কেউ মাছ আহরণ করতে না পারে, এজন্য কোস্টগার্ড, বন বিভাগ, র‍্যাব, নৌ পুলিশ ও মৎস অধিদপ্তর নদী, সমুদ্র ও নদী মোহনায় টহল জোরদার করবে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় সমুদ্র, নদী ও নদীর মোহনায় মাছ আহরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এছাড়া ইলিশ সংরক্ষণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহনও বন্ধ থাকবে। কেউ যদি এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে, তবে তাকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার রাজ।

তিনি বলেন, “এটাই ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এই সময়টাকে কাজে লাগালে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

এক্সক্লুসিভ আরও