পটুয়াখালী-কুয়াকাটা
মহাসড়ক খানাখন্দে ভরা, দুর্ভোগে ১০ লাখ মানুষ
জুলাই ২৮ ২০২৫, ১৭:৩০
এতে যান চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান এই সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে সড়কটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। নির্মাণকালে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ২০১৮ সালে কিছুটা সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এই সড়কে প্রতিদিন গড়ে ৯১২টি বৈধ যানবাহন চলাচল করে—যার মধ্যে রয়েছে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার। এছাড়াও এক হাজারের বেশি অবৈধ মাহিন্দ্রা, ট্রলি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সেতুর টোল ইনচার্জ।
চালকদের অভিযোগ, ভারী বর্ষণে সড়কের পিচ নরম হয়ে গিয়ে যানবাহনের চাপে উঠে যাচ্ছে। এতে তৈরি হচ্ছে গর্ত, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং গাড়ি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চালকেরা। আগে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগত দুই ঘণ্টা, এখন সময় লাগছে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
রবিবার (২৭ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের প্রায় প্রতিটি অংশে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। আমতলী চৌরাস্তা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, সাহেববাড়ি, আমড়াগাছিয়া, পাটুখালী, বান্দ্রা ও পখিয়া এলাকায় গর্তের কারণে যান চলাচল ভয়াবহভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
ভুক্তভোগী যাত্রী জিয়াউদ্দিন জুয়েল মৃধা, এনামুল হক ও রিপা বলেন, ‘দুই ঘণ্টার পথ যেতে এখন সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগছে। ঝুঁকি তো আছেই, সময়ও বেশি লাগছে। দ্রুত সংস্কার দরকার।’
শ্যামলী এনআর পরিবহনের চালক কেরামত আলী বলেন, ‘রাস্তার গর্তে স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, গাড়ি চালানোই দায় হয়ে গেছে।’
তুহিন পরিবহনের চালক কাওসার হাওলাদার বলেন, ‘বৃষ্টিতে পিচ উঠে গিয়ে গর্ত হচ্ছে। এতে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।’
আমতলী বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক অহিদুজ্জামান স্বজল মৃধা বলেন, ‘সড়কের দুরবস্থায় যাত্রীরা বিকল্প পথে চলে যাচ্ছেন। যাত্রীসংখ্যা কমে যাচ্ছে। দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।’
পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাশির বলেন, ‘এই সড়কের কারণে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে পড়েছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কমারেশ বিশ্বাস বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে পিচ নরম হয়ে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। মোবাইল টিম দিয়ে তাৎক্ষণিক মেরামত চলছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে পুরো সড়ক সংস্কার করা হবে।’








































