ফারদিন ‘হত্যার’ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের
নভেম্বর ০৮ ২০২২, ১৫:৫২
অনলাইন ডেস্ক :: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ ‘হত্যার’ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনারে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ফারদিনের সহপাঠীরাসহ বুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের বন্ধু ফারদিন নুর পরশ পুরকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার আনুমানিক রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে নিখোঁজ হয়। পরের দিন (৫ নভেম্বর) ফারদিনের সেশনাল কুইজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও সে অনুপস্থিত থাকে এবং আমরা তার ক্লাসমেটরা ফারদিনের ব্যাপারে তার পরিবারকে অবহিত করি এবং বুয়েট প্রশাসনকেও এ ব্যাপারে জানানো হয়। ওইদিনই পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরা থানায় জিডি করা হয়।’
‘সর্বশেষ গতকাল (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের ভাষ্য থেকে স্পষ্ট যে এটা একটা হত্যাকাণ্ড।’
আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এই ব্যাপারে প্রশাসন এবং মিডিয়াসহ সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। ফারদিন ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত মেধাবী এবং নির্ঝঞ্জাট একজন মানুষ ছিল।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে ফারদিনের মরদেহ বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয় এবং কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক, ফারদিনের বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে থাকতে পারে। তার মরদেহ পচে ফুলে গেছে। আমার ধারণা, তাকে শুক্রবার হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তার ব্যবহৃত ফোন, ঘড়ি ও মানিব্যাগ সঙ্গেই পাওয়া গেছে। আমি এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই।
আমার বরিশাল/ আরএইচ