গলাচিপায় সরকারী ঘরের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে দুই সন্তানের জননী

নভেম্বর ০৬ ২০২২, ১৮:৫১

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরকারী ঘরের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে দুই সন্তানের জননী জেলে মো. রিয়াজ মৃধার স্ত্রী লিজা বেগম। লিজা বেগম (৩০) হচ্ছেন গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব গোলখালী গ্রামের মোতালেব মৃধা বাড়ীর মো. রিয়াজ মৃধার ও কাসেম মোল্লার মেয়ে।

গৃহবধু লিজা বেগম জানান, বিবাহের পর থেকে অভাব-অনাটনের সংসারে দুটি সন্তান নিয়ে জীবন যুদ্ধে নেমেছে আমার স্বামী। তার পেশা জেলে। মানুষের সাথে নদীতে মাছ ধরে, কোন দিন মাছ ধরা পরে আবার কোন দিন মাছ ওঠে না জালে। যেদিন মাছ পাওয়া যায় না সেদিন আমাদেরকে না খেয়ে থাকতে হয়।

আমরা কোন রকম দুমুঠো খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। আমার শ^শুরের দেয়া দুই শতক জমিতে চটের ছালা ও পলিথিন দিয়ে বেড়া দিয়ে কোন মতে বসবাস করি। আমি একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে গিয়ে ঘরের জন্য আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোন ঘর পাইনি। সকলেই এসে আমার ঘর দেখে ছবি তুলে নিয়ে যায় এবং বলে আপনি ঘর পাওয়ার যোগ্য, আপনি অবশ্যই ঘর পাবেন।

কিন্তু গরীবের কপালে কী আর সুখ আছে। সরকারী ঘর তো দূরের কথা ঘরের কোন খবর পর্যন্ত পাই নাই। তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ দেয়া একটি ঘর পেলে বাকী জীবনটা স্বামী-সন্তানদের নিয়ে আমরা সুখে কাটাতে পারব। এ বিষয়ে লিজা বেগমের স্বামী জেলে রিয়াজ মৃধা জানান, আমি একজন জেলে মানুষ। নদীতে আগের মত আর মাছ পাওয়া না।

অনেক দিন অবরোধ ছিল। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পেট ভরে খেতেই পারি না, ঘর তুলে স্ত্রীকে সুখী করব কীভাবে। তাই সরকারী একটা ঘর পেলে রোদ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে পারতাম।

এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আসলেই লিজার পরিবারটি অসহায়। ওদের জন্য সরকারী একটি ঘর খুবই প্রয়োজন।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, যাচাই বাছাই করে দেখে পাওয়ার মত হলে অবশ্যই তিনি ঘর পাবেন।

আ/ মাহাদী

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

এক্সক্লুসিভ আরও