কিশোর গ্যাং ভয়ঙ্কর

নভেম্বর ০৩ ২০২২, ০০:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক ‍॥ সারা দেশে ভয়াবহ ভাবে বাড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের বিস্তার। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই সমানতালে গ্যাং কালচারের আধিপত্য। বিশেষ করে রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর অলিগলিতে কিশোর গ্যাং এখন মূর্তিমান এক আতঙ্ক। চাঁদাবাজি, দখল, মাদক ব্যবসা, খুন, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, চুক্তিতে মারামারি থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ইভটিজিংসহ সবকিছুতে জড়িয়ে পড়েছে গ্যাং সদস্যরা। এলাকাভিত্তিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় তারা দিনের পর দিন বেপরোয়া হচ্ছে। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অনেক সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ ব্যবস্থা নিতে গেলেই গ্যাং পৃষ্ঠপোষকরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর নেহাত বড় কোনো চাঞ্চল্যকর ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অপরাধ ও সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে বয়সে কিশোররা স্কুল কলেজে থাকার কথা তখন তারা নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে।

এমন কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নেই যার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নাই। মূলত সামাজিক ও পারিবারিক অবক্ষয়ের কারণেই কিশোররা আজ বিপথগামী।

যখন তাদের হাতে থাকার কথা কলম তখন থাকছে অস্ত্র। এই পরিস্থিতির দায় পরিবার ও সমাজের। কারণ পরিবার তাদের সেই নৈতিকতার শিক্ষা দিতে পারেনি। আর সমাজের গুটিকয়েক লোক কিশোরদের ব্যবহার করছে। তাদের ছত্রছায়ায় কিশোররা অপরাধী হয়ে উঠছে। তাই এখনই সচেতনতা বাড়াতে হবে। সেটি শুরু হতে হবে প্রতিটি পরিবার থেকে। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, আইনি জটিলতার কারণে কিশোরদের বিরুদ্ধে চাইলেই কঠোর হওয়া যায় না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাং কালচারের ভয়াবহতা বৃদ্ধির কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তার একটি হলো- সারা দেশের কিশোর অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। পরে তালিকা ধরে ধরে কিশোর অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, ১০ বছর বয়স থেকে শুরু করে ২০ বছর বয়সীরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। প্রতিটা গ্যাংয়ের আলাদা আলাদা নাম থাকে। ক্ষেত্র বিশেষ কিছু গ্যাংয়ের সদস্যদের চলাফেরা, চুলের কাটিং, পোশাক একই থাকে। ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে তাদের গ্রুপ খোলা থাকে। এসব গ্রুপের মাধ্যমেই তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। একেকটি গ্যাংয়ের একজন দলনেতা থাকে। মূলত তার নেতৃত্বেই গ্যাং পরিচালিত হয়। আবার তাদের একজন পৃষ্ঠপোষক থাকেন। পৃষ্ঠপোষকরা সাধারণত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এসব ব্যক্তিরাই মূলত তাদের প্রয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। আইনি বা অন্য কোনো ঝক্কি-ঝামেলা থেকে গ্যাং সদস্যদের রক্ষা করেন। সূত্র বলছে, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এখন অপরাধমূলক সকল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা যেকোনো ধরনের কাজ করে। সদস্যদের মধ্যে বস্তিতে বেড়ে ওঠা লেখাপড়া না জানা কিশোর থেকে ভালো ঘরের কিশোররাও জড়িত। তারা নিয়ম করে যেমন মাদক সেবন করে ঠিক তেমনি মাদক বিক্রির সঙ্গেও জড়িত। আর খুন খারাবি, অস্ত্রসহ মহড়া, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। গোয়েন্দাসূত্রগুলো বলছে, ঢাকার মোহাম্মদপুর, উত্তরা ও মিরপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি।

এই তিন এলাকায়ই অন্তত দেড় শতাধিক গ্রুপ নামে-বেনামে সক্রিয়। তারমধ্য ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগেই অর্ধশতাধিক গ্যাং রয়েছে। বিভিন্ন সময় এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা নানা অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, তেজগাঁও বিভাগে লাল গ্রুপ, টক্কর ল (জুনিয়র)’ ‘ল ঠেলা’ ‘আতঙ্ক গ্রুপ’, ‘ডায়মন্ড গ্রুপ’, গ ‘টক্কর ল’, ‘পাটোয়ারী’, ‘মুখে ল’, ‘পাঁয়তারা কিংস’, ‘দে ধাকা’, ‘লারা দে’, ‘লেভেল হাই’, ‘গুঁতা দে, ‘মার ভাণ্ডার’, ‘কাউসার গ্রুপ’, কাউসার গ্রুপ-২’, ‘কোম্পানি বাড়ি গ্রুপ’, ‘কালা আয়সা কিশোর গ্যাং’, ‘ক্যাস্তা ফিরোজ ৪০ ফিট গ্রুপ’, ‘ভাইগ্যা যা গ্রুপ’ সক্রিয় রয়েছে। এসব গ্রুপে অন্তত সাতশ’ সদস্য সক্রিয়। উত্তরা এলাকায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক গ্রুপের মধ্যে রয়েছে, জিইউ, ক্যাকরা, ডিএইচবি, ব্ল্যাক রোজ, বিগ বস, পাওয়ার বয়েজ, ডিসকো বয়েজ, তালা চাবি গ্যাং, নাইন স্টার, নাইন এমএম বয়েজ, পোঁটলা বাবু, সুজন ফাইটার, আলতাফ জিরো, এনএনএস, এফএইচবি, রনো, কে নাইন, ফিফটিন গ্যাং, থ্রি গোল গ্যাং, শাহীন রিপন গ্যাং, নাজিম উদ্দিন গ্যাং, ক্যাসল বয়েজ, ভাইপার, তুফানসহ নামে বেনামে বিভিন্ন গ্যাং।

এসব গ্রুপে পাঁচ শতাধিক সদস্য রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মিরপুরের ৭টি থানা এলাকায় কমবেশি নামে-বেনামে অর্ধশতাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। যার মধ্যে মিরপুর-১১ নম্বরের বি-ব্লকে বিহারিদের রয়েছে একটি গ্রুপ। মিরপুর-১১ নম্বরের সি-ব্লকে মানিক গ্রুপ। মিরপুর-১০ নম্বরের এ-ব্লকের পিন্টু, গুড্ডু ও নূর-এ-আলমের রয়েছে কিশোর গ্যাং। মিরপুর-১২ নম্বরের সেকশন ই-ব্লকের আকলিমা বেগম এবং রূপনগর এলাকায় এক যুবলীগ নেতার রয়েছে কিশোর গ্যাং। মিরপুর-১২ নম্বরের ডি-ব্লকে সুমন-ইব্রাহীম বাহিনী, রাজন বাহিনী, দিপু-বাবু বাহিনী, বাবু ওরফে গ্যাং বাবু বাহিনী এবং জনি বাহিনী। মিরপুর-১২ নম্বর ক্যাম্পের মাথায় সজীব বাহিনী এবং শাকিব-আপন বাহিনী। মিরপুর-১০ ও ১১ নম্বর এলাকায় পাগলা নূরু বাহিনী ও রাকিব বাহিনী অন্যতম। ভাষানটেক থানাধীন মিরপুর-১৪ নম্বরের কয়েকটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বাগানবাড়ি বস্তির সোহেল গ্রুপ। কাফরুলে রয়েছে রবিন গ্রুপ। রূপনগর থানাধীন চলন্তিকা ও ট-ব্লকের এলাকায় সক্রিয় রয়েছে রুবেল গ্রুপ। চলন্তিকা বস্তি এলাকায় ইয়াসিন গ্রুপ নামে আরও একটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। রূপনগর আবাসিক এলাকায় কিশোরদের নিয়ন্ত্রণ করে ইমন গ্রুপ।

কল্যাণপুর এলাকার রয়েছে অপু গ্রুপ। কল্যাণপুর নতুনবাজার এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আব্বাস গ্রুপ। মিরপুর-২ নম্বর ও পীরেরবাগ এলাকায় সক্রিয় ইমন গ্রুপ। ৬০ ফিট মসজিদ ও দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকায় সক্রিয় হ্যাপি গ্রুপ। মিরপুর কলওয়ালাপাড়া, ধানক্ষেত মোড় এবং আশপাশ এলাকায় সক্রিয় ভাস্কর গ্রুপ। দারুস সালাম থানাধীন লালকুঠি তৃতীয় কলোনি এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ‘এলকে ডেভিল’ গ্রুপ। ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি, বসুপাড়া এবং খালেক সিটি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে পটেটো রুবেল গ্রুপ। তিনতলা মসজিদ ও এর আশপাশ এলাকায় ‘অতুল গ্রুপ’। শাহ আলী থানাধীন গুদারাঘাট, কাজী ফরী স্কুল, বাজার ও আশপাশের এলাকায় সক্রিয় জুয়েল গ্রুপ। পল্লবী থানাধীন কালশী বালুর মাঠ বস্তি, মুরাপাড়া ক্যাম্প এলাকায় রয়েছে শফিক-শারাফাত গ্যাং। ১২ নম্বর সেকশনের বি-ব্লক, বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার ও আশপাশ এলাকায় সক্রিয় রকি গ্রুপ। বাউনিয়া বাঁধ, ই-ব্লকে সোহেল গ্রুপ নামে আরেকটি সক্রিয় কিশোর গ্যাং রয়েছে। পল্লবীর তালতলা মোড়, নাভানা আবাসিক ভবন, ও সবুজ বাংলা আবাসিক গেট এলাকায় আশিক গ্রুপ। ১১ নম্বর সেকশনের ডি-ব্লক এবং রামগড় এলাকায় জল্লা মিলন গ্রুপ। বি-ব্লক, ঈদগাহ মাঠ এলাকায় রয়েছে- পিন্টু-কাল্লু গ্রুপ। অন্তত ২০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে এ গ্রুপে। বাউনিয়া বাঁধ বি-ব্লকের কাল্লু, ‘ডি’ ব্লকের উজ্জ্বল, সজীব, সাজ্জাদ, শুক্কুর, ‘ই’ ব্লকের জন্টু এবং ‘এ’ ব্লকের হাসান অন্যতম। পল্লবী এলাকায় মুসা-হারুন নামের একটি গ্রুপ রয়েছে।

পল্লবীর ই-ব্লকে রয়েছে রোমান্টিক গ্রুপ। এ ছাড়া, ঢাকার মুগদা, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, খিলগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা, পুরান ঢাকা, মতিঝিলসহ আর কিছু এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, গত ৫ বছরে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খোদ রাজধানীতেই প্রায় অর্ধ শতাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তার, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দখলবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা কারণে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে গত পাঁচ বছরে র‌্যাব ও পুলিশের হাতেই কিশোর গ্যাংয়ের অন্তত হাজারখানেক সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। র‌্যাব সদর দপ্তর জানিয়েছে, ৮৭টি অভিযানে ৫২টি কিশোর গ্যাংয়ের ৬৭৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অন্তত ৭০ জনের মতো কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে মুগদার মান্ডা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে রাকিবুল ইসলাম রাতুল (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল র‌্যাব-৩ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০শে আগস্ট কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মো. শাহাদাত (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হন। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাং রতন গ্রুপের লিডার রতনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ১৭ই অক্টোবর রাজধানীর উত্তরখানে মজনু মিয়া নামের এক বৃদ্ধের বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায় স্থানীয় কিশোর গ্যাং।

এতে সীমানা প্রাচীরসহ ওই বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওইদিন উত্তরখানের মুন্ডা লালবাগ এলাকার বুলবুল ও মনিরের নেতৃত্বে ৪০-৫০ সদস্যের একটি কিশোর গ্যাং মজনু মিয়ার বাড়িতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) একে এম হাফিজ আক্তার মানবজমিনকে বলেন, কিশোর অপরাধীদের বিস্তার এলাকাভিত্তিক বেড়ে গেছে। এটি সামাজিকভাবে একটি বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পতে টাকা কামাই করা থেকে শুরু করে সব খারাপ দিকে তারা ধাবিত হচ্ছে। এলাকার মোড়ে মোড়ে দলবেঁধে তারা অবস্থান করছে। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বসহ আরও কিছু কারণে তারা যেকোনো সময় ঝামেলা বাধায়। এসব গ্রুপের বড় একটি অংশ নিম্নবিত্ত ঘরের। চায়ের দোকানে বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। আমরা ডিএমপি থেকে একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছি। প্রতিটি থানাকে তথ্য নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কিশোররা অপরাধ করলে আমরা সংশোধনাগারে পাঠাই। মোটিভেশনাল কাজ কমিউনিটি পুলিশ বা সুশীল সমাজের মাধ্যমে করতে হবে। বয়সের কারণে সবাইকে আইনের আওতায় আনা যায় না।

শুধুমাত্র অপরাধ যারা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেই। অপরাধ ও সমাজ বিজ্ঞানী তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, কিশোর অপরাধী তৈরি হওয়ার পেছনে কিছু কারণ আছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদের নিজের প্রয়োজনে টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে কিশোরদের দিয়ে গ্যাং তৈরি করে। যেটি তাদের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করে। অস্ত্র-মাদকসহ বেশকিছু সুযোগ-সুবিধাও তিনি তাদেরকে দেন। নিজের স্বার্থেই কিশোর গ্যাংকে লালন-পালন করেন। নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তানরা স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য যে সকল নৈতিক শিক্ষার দরকার হয় সেগুলো তারা পায় না।

এসব কিশোররাই চুরি, ছিনতাই, হাঙ্গামা, মাদক গ্রহণ, বিক্রিসহ খুনাখুনির মতো অপরাধ করে। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ঘরের সন্তানরা কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত হয়। তবে অন্যদের মতো রাস্তা ঘাটে কিছু করে না। তারা পরিবার থেকে টাকা নিয়ে ক্লাবে যায়, মাদক, সিসা গ্রহণ করে। তিনি বলেন, নিম্নবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা কিশোরদের নিয়ে যারা গ্যাং তৈরি করেছে তারাই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।ৎ

তাদেরকে দিয়েই অপরাধমূলক কাজ করানো হচ্ছে। তৌহিদুল হক বলেন, কিশোরদের অপরাধ বড়দের অপরাধের মতো। তারা অস্ত্র নিয়ে খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটায়। তাই তাদের জন্য আলাদাভাবে কিশোর কারাগার নামক কারাগার তৈরি করে সেখানে রেখে সংশোধন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। সর্বোপরি কিশোররা অপরাধ করছে এটা সবাই বলছে। কিন্তু অপরাধ যাতে না করে সেজন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সূত্র: মানবজমিন

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  

এক্সক্লুসিভ আরও