ডুবে যাওয়া জাহাজের ৫০০ টন সার মিশে গেলো পানিতে
ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০২৩, ১৪:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ৫০০ টন সারসহ ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ ‘শাহজালাল এক্সপ্রেস’ এর সব সার পানিতে মিশে গেছে।
ডুবন্ত ওই জাহাজ থেকে সার উত্তোলনের সময় কোনো সার পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী জাহাজটির উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়েছিল।
এটি উদ্ধারে মালিক পক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হলেও ৯ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাহাজের মালিক আজাহার সিদ্দিক বলেন, জাহাজটি উদ্ধারের জন্য নির্ধারিত সময়ের ১১ দিন পর মোংলা ও খুলনার ডুবুরি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুরুতে তারা সার অপসারনের চেষ্টা চালিয়ে কোনো সার পাননি। ৫০০ টনের পুরো সারই নদীর পানির সাথে মিশে গেছে। সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি উদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ ধরনের একটি নৌ-যান (ফ্লাট বোট) রওনা হয়েছে। ২০ দিনের মধ্যে এটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সার নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এতে জলজ সম্পদের মারাত্মক ক্ষতিসহ পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনের পরিবেশও নষ্ট হবে’।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, ২৫ জানুয়ারি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া- ৯ এ অবস্থান করা লাইব্রেরিয়া পতাকাবাহী ‘এমভি ভিটা অলেম্পিক’ থেকে সার বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে আসছিলো লাইটার জাহাজ শাহজালাল এক্সপ্রেস।
পথিমধ্যে হারবাড়িয়া-৮ এ ক্লিংকার নিয়ে অবস্থান করা ‘সুপ্রিম ভ্যালর’ নামে বিদেশি একটি জাহাজ টার্ন করার সময় ধাক্কা লাগলে লাইটার জাহাজটির ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে ডুবে যায়। এসময় লাইটারটিতে থাকা ৯জন নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আ/ মাহাদী









































