এক রাতের ব্যবধানে লাফিয়ে বাড়লো মুরগির দাম
জানুয়ারি ২৭ ২০২৩, ১৪:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ডিম, মুরগী ও আদা- রসুনের দামের হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। তবে নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। রাতের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুরগির দাম ২০-৩০ টাকা বেড়েছে
শুক্রবার। বন্ধের দিন। তাই কর্মজীবী মানুষের ভিড় বাড়ে প্রতিটি বাজারেই। আর এ সুযোগে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও দিনটিতে অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো অনেকটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে রাজধানীর প্রতিটি বাজারে।
নাভিশ্বাস অবস্থা ক্রেতা সাধারণের। বাজার তদারকি কার্যক্রম না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
যেমন বুধ বা বৃহস্পতিবারও ব্রয়লার মুরগির দাম ছিলো কেজিতে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। এক রাতের ব্যবধানেই তা বেড়ে ১৭০-এ। সোনালী কিংবা কক জাতের মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মাঝে কিছুদিন স্থিতিশীল থাকলেও আবারও ঊর্ধ্বমুখী ডিমের দাম।
কগজে কলমে চিনির দাম ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়ার কথা থাকলেও এখনই তা মিলছে না ১১৫ টাকার নীচে। আদা- রসুনে হঠাৎ দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে ভরপুর শীতের সবজি। কিন্তু ক্রেতাদের ভাষ্যমতে, গতবছরের শীতের তুলনায় এবার শীতের সবজির দাম প্রায় দ্বিগুন। ৬০ টাকার টাকার নিচে মিলছে না বেশিরভাগ সবজি।
নদীর মাছতো দূরের কথা, মিঠা পানির মাছও এখন অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। মাঝারি সাইজের রুই মাছ কিনতেও গুনতে হয় ৩৫০ টাকা কেজি। প্রায় সব মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
তবে এক সপ্তাহে নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। সবচেয়ে স্বস্তি বিআর-২৮ জাতের চালে। দাম ৫৫ টাকা। তবে ৭০ টাকার নিচে মিলছে না মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল। ভারতীয় চালের পর্যাপ্ত আমদানি সত্ত্বেও কমছে না দাম।
আ/ মাহাদী









































