নিজস্ব প্রতিবেবদক, বরিশাল: বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের গণতন্ত্রের নমুনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘তাদের আমলে বিরোধী দল আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে পণ্ড করে দেয়া হতো।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। জয় তার পোস্টে একটি দৈনিক পত্রিকার সচিত্র সংবাদের ছবিও যুক্ত করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন ও নিপীড়ন চালায়। এমনকি তারা আওয়ামী লীগের যেকোন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা কর্মসুচিতেও বাধা দিত।
বিরোধীদের সমাবেশ পণ্ড করার জন্য বিএনপি সরকার জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দলের ব্যানারে ছিন্নমূল সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে নাশকতামূলক হামলা করতো এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতো।
২০০২ সালের ২৯ মার্চ জনকন্ঠ পত্রিকার ছবিসহ এই নির্মম সংবাদ উঠে আসে। দেখা গেছে, মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তিন দফা টিয়ার শেল মেরে পুলিশ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময় বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ভাড়াটে কিছু ছিন্নমূল সন্ত্রাসী। বিএনপির হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের একজন সংসদ সদস্যের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দল নামে এসব সন্ত্রীদের ব্যবহার করা হয়। বিএনপি- জামায়াত গড ফাদারদের মাদক ব্যবসার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে এই ছিন্নমূলসন্ত্রীদের একটি অংশ।
ওই সময় পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতে আহত হন মতিয়া চৌধুরী, সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মারিয়া, লিপি, শিখা হেলেন, মেয়র হানিফ, মোখরুসুর রহমান, আবদুস সাত্তারসহ ২০ জন নেতাকর্মী।