আরিফ হোসেন ॥ বরিশালে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, স্বৈরাচারের প্রধান চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি নিতে হলে এটা হবে আন্দোলনের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার মত। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া গণ ভোটের আদেশ ড. ইউনুচের জারি করতে হবে। যদি নির্বাচনের আগে বাকি যে কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো হয়ে যায়, তাহলে আমরাই বলেছি নির্বাচন কার্যক্রমকে আমরা ফেসিলেটিট করবো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে শাপলা প্রতীকের বিষয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশন এনিয়ে কোন মতামত দিতে রাজী নয় এমনটা বলেছেন। এতে করে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে তাদের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য।

তিনি আরো বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সুতরাং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন যেভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে, যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তাতে ভোটের অংশ গ্রহন ভালোই থাকবে।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত এনসিপির বরিশাল জেলা ও মহানগর সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় তিনি আরও বলেন, তিন শ’ আসনেই সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে।

এসময় তিনি বলেন, আমরা যেনো একটা গুণগত, কাঠামোগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে একটা গ্রহনযোগ্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে যেতে পারি তার জন্য তার বড় দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর।

শাপলা প্রতীক নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শাপলা প্রতীক কেনো দিবেনা তার ব্যাখ্যা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। যার ফলে এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে যদি নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয় তখনও তার ব্যাখ্যা দিবে কিনা।

বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্তক্ত,দক্ষিনাঞ্চলের সংগঠক আসাদ বিন রনি,কেন্দ্রীয় সদস্য, রফিকুল ইসলাম কনক প্রমূখ।