ভোটকেন্দ্রে গুলি, ৭ বছর পর চেয়ারম্যানসহ ৩৪ জনের নামে মামলা
এপ্রিল ০৫ ২০২৫, ১৬:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ভোট গ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রে গুলির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ বি এম মিজানুর রহমান খোকনসহ ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০-৬০ জনকে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পরান বয়েজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ গুলির ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ। তিনি বলেন, ৩ এপ্রিল রাতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের উত্তর পরান গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর মো. আইয়ুব আলী। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর আছে এবং আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন ওই ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা একত্রিত হন। এ আসনের ১৪ দলীয় মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে বিজয়ী করতে তাঁরা অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
এরপর ভোটারদের ভয় দেখিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেন। এ সময় জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন সভাপতি শরিফুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশে তাঁরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে আইয়ুব আলীর (মামলার বাদী) ছেলে শাহিন মিয়া (৩২) নামের ভোটারকে গুলি করেন। গুলি শাহিন মিয়ার বাঁ ঊরু ভেদ করে ডান ঊরু দিয়ে বের হয়ে যায়।
এতে শাহিন মিয়া গুরুতর আহত হন এবং রক্তক্ষরণের কারণে তাঁকে দ্রুত প্রথমে সুন্দরগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। শাহিন মিয়া বর্তমানে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছিল। মামলার বাদী আইয়ুব আলী বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে আমার ছেলেকে পঙ্গু করেছে। এত দিন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীদের চাপে মামলা করতে পারিনি। অবশেষে সাত বছর পর মামলা দায়ের করেছি। আমি ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব এবং আশা করি, আইন সঠিক পথে ব্যবস্থা নেবে।’