বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সদর রোডস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে সদর উপজেলা মহিলা দলের আয়োজনে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় রহমাতুল্লাহ বলেন,  স্বৈরাচার এরশাদের আমলে যখন গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল তখন বেগম জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছিল। আওয়ামী লীগ ও জামায়াত ৮৬ সালে এরশাদের অবৈধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারকে বৈধতা দিয়েছিল।

জনগণ তার প্রতিদান হিসেনে ৯১ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু  নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে এনে নিরঙ্কুশ  জয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ সাল এ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০০১ সালে এ-দেশের জনগণ ভোট বিপ্লব করেছিল৷

গত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়া ও  বিএনপিকে নি:শ্বেষ করতে গিয়ে হাসিনাই ব্যর্থ হয়েছে। বেগম জিয়া যদি হাসিনার সঙ্গে আপোষ করতেন তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব আজ টিকে থাকতো না।

রহমাতুল্লাহ বলেন, বেগম জিয়া আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করতে গিয়ে অসুস্থ্য। তার এই ত্যাগের বিনিময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার পক্ষে অবস্থান নেবে।

তিনি বলেন, নারী উন্নয়নে বেগম জিয়া দেশে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। সেজন্য আগামী নির্বাচনে নারী সমাজকে ঘরে ঘরে খালেদা জিয়ার অবদান তুলে ধরার জন্য নারী প্রতিনিধির প্রতি আহবান জানান বিএনপি নেতা রহমাতুল্লাহ।

বরিশাল সদর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক নারগীস ও নীরু বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নব বেগম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হনুফা বেগম, কহিনুর বেগম প্রমুখ।