বরিশালে বিএনপির মহাসমাবেশের স্থান এখনো চূড়ান্ত হয়নি

অক্টোবর ৩১ ২০২২, ০০:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অনেক দিন পরে বরিশাল বিএনপি অফিস নেতাকর্মীদের উপস্থিতে মুখর হলেও সবার মধ্যে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা কাজ করছে। দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ মহাসমাবেশকে সফল করতে নানামুখি প্রস্তুতি চলছে। ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যায়েও কর্মীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের। মহাসমাবেশের দিন ও আগের দিন বরিশালে সড়ক পরিবহন ধর্মঘট আহবান করা হয়েছে ইতিমধ্যে ।

 

যা আজকালের মধ্যে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেও ছড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নৌ ধর্মঘট আহবানেরও গুঞ্জন রয়েছে। এমনকি ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তী তেতুলিয়া নদীতে সরকারী ফেরি সার্ভিসসহ নৌকায় যাত্রী পারাপার বন্ধের অঘোষিত পদক্ষেপ নেয়া কথাও শোনা যাচ্ছে। ফলে নদ-নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বরিশাল মহানগরীর সমাবেশ স্থলে পৌঁছানো কঠিন হবে। তারপরেও নেতাকর্মীদের আটকানো যাবেনা বলে দাবী করছেন বিএনপি নেতারা। তবে যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে এধরনের বাধা বিপত্তি বিরোধী দলের প্রতি জন সমর্থন বৃদ্ধিতেই সহায়ক হয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিকে আগামী ৫ নভেম্বর শনিবার বরিশালে মহাসমাবেশের স্থান চূড়ান্ত হয়নি এখনো। বিএনপির পক্ষ থেকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান বা বেলসপার্ক সমাবেশের জন্য অনুমোদন চাওয়া হলেও প্রশাসন থেকে ফজলুল হক এভিনিউ বা আউটার স্টেডিয়ামকে বেছে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতৃবৃন্দ এখনো বেলস পার্ককেই প্রথম পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। মঙ্গলবারের মধ্যেই স্থান নির্বাচন চূড়ান্ত করে প্রচারণায় নামতে চাচ্ছে বিএনপি।

মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ নেতাকর্মীদের প্রতি কোন হয়রানীমূলক আচরণ করছে কিনা সে দিকেও লক্ষ্য রাখছে দলটি। পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে আইন অনুযায়ী কাজ করার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে আইনÑশৃঙখলা বাহিনীর পাশাপাশি শাসক দলের পক্ষ থেকে এ মহাসমাবেশ প্রতিহত করতে পরিবহন ধর্মঘট ছাড়াও রাজনৈতিক পদক্ষেপের বাইরে শক্তি প্রয়োগের মত পরিস্থিতি তৈরী করা হয় কিনা সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ‘বিরোধী দলের কোন কর্মসূচীকে তারা দলীয়ভাবে প্রতিহত বা বাধাগ্রস্ত করবেন না’। বিএনপি যদি কোন অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করে, তবে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চয়ই প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র।

এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মহাসমাবেশকে ঘিরে অবরোধÑধর্মঘটের আগেই বরিশালে অবস্থানের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকেই মহানগরীর সব হোটেল বুকিং শেষ হয়ে গেছে। নগরীর শতাধিক আবাসিক হোটেলে ৩ নভেম্বর থেকে কোন কক্ষ খালি নেই। এছাড়া অত্মীয়Ñবন্ধুদের বাড়ীতেও বহু নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দেবেন বলেও জানা গেছে। মহাসমাবেশকে ঘিরে ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থানকারী বিএনপির অনেক মৌসুমী নেতৃবৃন্দও বরিশালে আসতে শুরু করেছেন। তাদের অনেকেই যে যার মত করে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন।

এসব কিছু ছাপিয়ে দেশের ৫ম বিভাগীয় সদরে কেমন হবে প্রধান বিরোধী দলের মহাসমাবেশ, তা পরিষ্কার হতে শুরু করবে ১ নভেম্বর থেকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে বরিশাল মহানগরীকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া এ মহাসমাবেশকে ব্যাহত করতে খুলনার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে কিনা তা নির্ভর করবে শাসক দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের ওপর।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  

এক্সক্লুসিভ আরও