নাফ নদে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় বিজিবি, ১৩৭ জনকে প্রতিহত
ফেব্রুয়ারি ১৩ ২০২৪, ১২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতকারী ও রোহিঙ্গা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ পাহারায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ইতোমধ্যে ১৩৭ জনকে প্রতিহত করা হয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফ নদী সীমান্তে স্পিডবোট দিয়ে জালিয়ার দ্বীপসহ নাফনদে টহল বাড়িয়েছে বিজিবি।
গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ সীমান্তের নাফনদ ও স্থলে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য। সকাল থেকে অন্তত তিনটি স্পিডবোট নাফ নদে টহলে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অতিরিক্ত টহল।
রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঠেকানো হচ্ছে জানিয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, নাফ নদ অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাশাপাশি কোনো দুষ্কৃতকারী যাতে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে দমদমিয়ার নাফ নদ সীমান্তে বিজিবির তিনটি স্পিড বোটের টহল অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে লোকজন অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু নতুন করে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। সোমবার পর্যন্ত ১৩৭ জনকে প্রতিহত করা হয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় এ দিন সীমান্ত শান্ত ছিল। অন্যদিকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির চলমান তুমুল লড়াই ও গোলাগুলির শব্দে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেনাসহ ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
অন্যান্য দিনের মতো ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে গুলাগুলির শব্দ শুনা যায়নি। ফলে অনেকটা স্বস্তির মধ্যে সীমান্তবাসী। তবে যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাই স্বস্তি ফিরলেও আতঙ্ক কাটছে না ওদের। তবে সর্বোচ্চ বিজিবি সদস্য পাহারা জোরদার করায় অনেকটা স্বস্তির মধ্যে সীমান্তের জনগণ।