বরিশাল-২ আসনে বৈধ প্রার্থী হলেন সাবেক এমপি মনি
ডিসেম্বর ০৩ ২০২৩, ১৯:৪৮
বিশেষ প্রতিনিধি॥ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে বৈধ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিন বারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ মনিরুল ইসলাম মনি। ৩ ডিসেম্বর রোববার সকালে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুল ইসলাম মনি’ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুসসহ এ আসনের ১৩জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া অপর দুই প্রার্থী জেপির ব্যারিষ্টার আলবার্ট বাড়ৈ ও কংগ্রেসের মিরাজ হোসেনের মনোনয়নপত্র ত্রুটির কারনে বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির আমলে ১৯৮৬ ও ৮৮ সালের নির্বাচনে বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসনে পরপর দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ব্যপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জণ করেন। মনিরুল ইসলাম মনিকে বানারীপাড়া, উজিরপুর ও স্বরুপকাঠি উপজেলার উন্নয়নের রূপকার বলা হয়ে থাকে।
এ তিন উপজেলায় তার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ডের গুনগান এখনও মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। কর্মবীর কাজপাগল একজন এমপি হিসেবে এলাকাজুড়ে তাঁর সমধিক খ্যাতি ও সুনাম রয়েছে। এমনকি নিন্দুকেরাও তার উন্নয়নকাজের ব্যপারে প্রশংসা ও স্বীকার করেন।
তিনি ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশোধিত বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার টিকিটে বিপুল ভোটে তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা দানবীরখ্যাত এস.শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী তিন বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হয়ে মনিরুল ইসলাম মনি রাজনীতিতে চমক সৃষ্টি করেন।
পুনরায় তৃতীয় বারের মত এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি নবউদ্যমে মহা পরিকল্পনা নিয়ে বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলায় নানা কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। তিনি বানারীপাড়া ও উজিরপুরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেন। তার আমলে দুই উপজেলায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয় ও চলমান থাকে । উন্নয়নের ছোঁয়ায় গ্রামীণ জনপদগুলো অবয়বে শহুরে জনপদে রূপ নেয়। বরিশাল-২ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট না পেয়ে দলমত নির্বিশেষে এলাকার আপামর জনতার দাবির প্রেক্ষিতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।