বিএনপি কার্যালয় থেকে উধাও ইসির চিঠি!
নভেম্বর ২১ ২০২৩, ২০:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শেষবারের মতো সংলাপে বসতে বৈঠক আহ্বান করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর সেই আমন্ত্রণ বার্তা পৌঁছানো হয় নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। বিএনপি ছাড়া বাকি দলগুলো চিঠি পেয়ে উত্তরে তাদের অবস্থানও জানিয়েছে।
সংলাপের আমন্ত্রণ বার্তা নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ২ নভেম্বর যান নির্বাচন কমিশনের একজন বার্তাবাহক; যার নাম মো. মহসিন। বিএনপি কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকায় গেইটের ভেতরে চিঠি রেখে চলে যান ইসির ওই বার্তা বাহক। এরপর থেকে প্রতিদিনই বিএনপির তালাবদ্ধ কার্যালয়ের ভেতরে থাকা চেয়ারে ওই চিঠি পড়ে থাকতে দেখা যেত। তবে আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আর সেই চিঠির দেখা মেলেনি। চেয়ারটি ফাঁকাই পড়ে আছে।
পুলিশি পাহাড়ায় থাকা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে চিঠি কোথায় গেল এমন প্রশ্নে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, কী করে বলব? আমরা বিএনপি অফিসে কখনো ঢুকিও না; আমরা বেরও হই না। বিএনপির কার্যালয়ে তালা তারাই মেরেছে, আমরা জানি না। আর রক্ষণাবেক্ষণও তারাই করে।
পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে ডিউটি করে না, পাশের রাস্তায় করে। আর এটা রেগুলার ডিউটি। তাই কার্যালয়ের ভেতরে কী হয়েছে সেটা আমরা বলতে পারবো না। তবে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠি তারা পাননি এবং কারা নিয়েছেন তা বিএনপি জানে না বলে দলটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেছেন সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জানে না বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলকে কীভাবে চিঠি দিতে হয়। আমরা তো কার্যালয়ে যেতেই পারি না আর সেই চিঠি কীভাবে আনবো। এগুলো পুলিশ, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন জানে। সবকিছুই শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ হয়ে তারা করছে। চিঠি আনা তো পরের বিষয় একটা পাগল গেলেও তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।’
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ বিএনপির সংঘর্ষের পর থেকেই তালাবদ্ধ হয়ে থাকে নয়াপল্টনের বিএনপির কার্যালয়। সেই সঙ্গে থাকে পুলিশের কড়া অবস্থান। তাদের সামনে থেকে কীভাবে সরে গেল নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠি এমন প্রশ্ন বিএনপি নেতাকর্মীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে আমরা জেনেছি কিন্তু চিঠি সরে গেল কীভাবে? কার্যালয়ের সামনে তো সিসিটিভি ফুটেজ আছে সেগুলো দেখা হোক। চুন থেকে পান খসলেই তো ক্যামেরা দেখায় এখন চোখে পুলিশ ক্যামেরা দেখে না?’