রামদা হাতে স্কুলের বারান্দায় হেঁটে ভাইরাল হওয়া সেই শিক্ষক বরখাস্ত
নভেম্বর ০৭ ২০২২, ১৪:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভারতের আসামের কাছাড়া জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে রামদা হাতে স্কুলের বারান্দায় হাঁটতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এনডিটিভি, হিন্দুস্থান টাইমসসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলের বারন্দায় রামদা হাতে ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষকের নাম ধৃতিমেধা দাস (৩৮)। তিনি কাছাড়ের শিলচর জেলার তারাপুর এলাকার বাসিন্দা। ১১ বছর ধরে তিনি রাধামাধব বুনিয়াদি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, রামদা হাতে ওই শিক্ষক স্কুলের ক্যাম্পাসের ভেতর ঘোরাফেরা করছেন। এই ভয়ানক ছবি ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে নেটপাড়ায়।
পরে স্থানীয়রা আসামের রঙ্গীরখাড়ি থানায় ফোন করে পুলিশকে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, রাধামাধব বুনিয়াদি স্কুলে প্রধান শিক্ষক ধৃতিমেধা দাস হাতে রামদা নিয়ে এসেছিলেন।
অভিযোগ পেয়ে সেখানে শনিবার সকালে পুলিশ তদন্ত করতে যায়। পুলিশ জানায়, ‘প্রধান শিক্ষক অস্ত্রটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। সব কিছুই ঠিক আছে, এমন ভান করছিলেন।
তবে আমরা লক্ষ্য করি যে স্কুলে ঢোকার পরই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে একটি চাপা ভয় রয়েছে। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়।’ পুলিশ আরও জানায়, এরপর ওই শিক্ষককে স্কুলের ভেতরেই আটক করা হয়।
সে সময় ধারালো অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা অধিদপ্তরকে খবর দেওয়া হয়। শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর পরভেজ হাজারি তদন্তের বলেন, প্রধান শিক্ষক ধৃতিমেধা দাস বাকি শিক্ষকদের নিয়মানুবর্তিতার ব্যত্যয় নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। সে কারণেই স্কুলে দা এনে বাকি শিক্ষকদের ভয় দেখাতেন বলে জানা যায়।
এদিকে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন স্কুলের অপর শিক্ষকদের অনিয়মের কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশ ছিলেন। রামদা দেখিয়ে তিনি তাদেরকে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন।
এ ঘটনায় ধৃতিমেধা দাসকে বরখাস্ত করা হলেও তাকে আটক করা হয়নি। কারণ, অন্য শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
আ/ মাহাদী