যে কারণে সেই প্রতিবেদন দেখে ক্ষুব্ধ হন মাশরাফি

নভেম্বর ০৪ ২০২২, ১৬:০৭

স্পোর্টস ডেস্ক :: সম্প্রতি ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকারে দাবি করা হয়, ৫১০ কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের টাকার পরিমাণ ৪০৭ কোটি।

এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুবসহ আরও অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সম্পদের হিসাব দেওয়া হয় সেই প্রতিবেদনে।
যদিও নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র ব্যবহার না করায় প্রতিবেদনটি তার সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা হারিয়েছে।

প্রতিবেদনটি নিয়ে আর কোনো ক্রিকেটার কথা না তুললেও এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

এ বিষয়ে জাতীয় দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক জানালেন, তার সম্পদ কতটুকু বেড়েছে তা জানতে আরেকটি হলফনামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্রতিবেদনের বিষয়টি শুরুতে এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন মাশরাফি।

এ কথা জানিয়ে সাবেক তারকা পেসার জানালেন, পরে যখন দেখলেন প্রতিবেদনটি ঘিরে অন্য এক বক্তব্য চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তখনই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হন।
বৃহস্পতিবার ক্রীড়া সাংবাদিক নোমানের ‘নট আউট নোমান’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমি সম্ভবত খেলা দেখছিলাম। আমার পিএস বিষয়টি আমাকে জানায়। শুরুতে গুরুত্ব দিইনি। ক্রিকেটারদের নিয়ে এমন কতই না রিপোর্ট হয়।

বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়েও এমন নিউজ হয়। কার কত টাকা— এসব। আমি আসলে ব্যাপারটি ইগনোরই করেছি। কিন্তু সংসদ থেকে ফিরে দেখলাম ব্যাপারটি অন্যদিকে টার্ন অ্যারাউন্ড করছে। কারণ আমি রাজনীতি করি। রাতেই যখন দেখলাম বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিয়েছে, তখনই আমি স্ট্যাটাস দিই। আসলে এমন প্রতিবেদন যারা করেছে, তাদের সব দায়িত্ব নিয়েই করা উচিত।

ক্রিকট্র্যাকারের সেই প্রতিবেদন বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে আসায় হতাশ হয়েছেন বলে জানালেন মাশরাফি।

নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত তারকা বলেন, এখানে বিব্রত বা হতাশা হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এটি করেছে। ক্রিকেটারদের নিয়ে এমন নিউজ আগেও হয়েছে। আমি দেখেছি। কিন্তু দুঃখ পাওয়ার মূল কারণ হলো— আমি তো ভেরি মাচ এভেইলেবল। আমাকে পায় না এমন তো কোনো মানুষ নেই। বিশেষ করে প্রেসে যারা আছেন, সাংবাদিকরা তারা সবসময়ই আমাকে পায়। আমার সঙ্গে কথা না বলে কিংবা ক্রসচেক না করে হুট করে এমন প্রতিবেদন (ঠিক হয়নি)।

এখানে ইনটেশনটা স্পষ্ট নয় আমার কাছে। আমি যদি শুধুই খেলোয়াড় হতাম, তা হলে ভিন্নকথা ছিল। ওই প্রতিবেদনে সাকিবের ৪০৭ কোটির কথা লেখা হয়েছে, রিয়াদ ২৭০ কোটি, মুশফিক আড়াইশ কোটি। কেউ কি এত টাকার মালিক নাকি? এর পরও তারা চুপ আছেন। প্লেয়ার হিসেবে তারা ঠিক আছেন। আর যেহেতু আমি পলিটিক্স করি, সেহেতু আমার একটা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কারণ বিষয় অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলতে কোন দিকে?

মাশরাফি বলেন, ‘হলফনামায় আমার সম্পদের পরিমাণ এক, আর এখন শোনা যাচ্ছে আরেকটা। এই কয় বছরে আমার সম্পদ কতটুকু বেড়েছে তা জানতে তো আরেকটা হলফনামার অপেক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে আবার সুযোগ দেন, তবে সেই হলফনামা প্রকাশ পাবে। আর যদি না আসে চেষ্টা করব জানানোর। সাংবাদিকরা তো প্রমাণ সাপেক্ষে এসব নিউজ করবেন, ঘরে বসেই এটি করা ঠিক না।

আমার বরিশাল/ আরএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

এক্সক্লুসিভ আরও