‘সংবিধানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন’
নভেম্বর ০৪ ২০২২, ১৫:৫৪
অনলাইন ডেস্ক :: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সংবিধানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আর এটা করতে হলে জেনে বুঝে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে। এই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে জারের মতো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ লোকই সংবিধানের ধারা সম্পর্কে জানে না। সংবিধানের ৭ ধারা থাকলে এই সরকারের বিরুদ্ধে কোথাও কিছু বলা যাবে না। মানুষের অধিকার থাকবে না। সুতরাং মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে সহজ করে বলতে হবে, যাতে মানুষ বিশ্বাস করে এই সংবিধান পরিবর্তন করা দরকার।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত ‘সংস্কার কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে সম্ভব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, মানুষকে সংবিধান বুঝিয়ে আন্দোলনে আনা কষ্টকর। অনেকে জানেনই না যে সংবিধান দেশ চালায়। তাই তাদের এইভাবে আন্দোলনে আনা যাবে না। মানুষ যেভাবে জনসমাবেশগুলোতে অংশ নিচ্ছে এগুলো তো অভ্যুত্থানের মতোই। সব কিছু বন্ধ তারপরও মানুষ যাচ্ছে। এবং খেয়াল করবেন এরা সবাই বিএনপির সমর্থক নয়। এখানে সাধারণ মানুষ আছেন যারা মনে করেন জিনিসের দাম কমা দরকার।
তিনি বলেন, মানুষ এখনকার ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে যাকে পায় তাকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে, কারণ তাদের তো বাঁচতে হবে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, শাসক দল সংবিধানকে কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু ভাবে না। সংবিধান নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভর করছে। নির্বাহী বিভাগ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান প্রণয়নের সময় একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রণয়নের চিন্তা মাথায় রেখে করা হয়েছে। ফলে সংবিধান ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করেছে। এখন সেই কর্তৃত্ববাদী সরকার চলছে। তারা এখন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাটাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘৯০ এর পরবর্তী সময়ে পরিবার কেন্দ্রিক রাজনীতিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছে। আর এতে তরুণ প্রজন্মকে দিয়ে অপরাজনীতি করাতে সক্ষম হয়েছে। তা ধারাবাহিকভাবে আমরা সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী সভাপতি শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, বিভিন্ন কারণে এখন সংবিধান সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক। এখন রাষ্ট্রের মূল সংকট হচ্ছে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য বারবার সংবিধানকে কাটছাঁট করেছেন। নিজেদের প্রয়োজনে ক্ষমতা বাড়িয়েছে। তাই সংবিধানটি পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সংস্কার করা জরুরি।
আমার বরিশাল/ আরএইচ