ব্যাংক কর্মকর্তা ও ফরেস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

নভেম্বর ০৩ ২০২২, ১৬:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ফরেস্ট গার্ড ও ব্যাংক কর্মকর্তা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাউনিয়া থানাধীন শায়েস্তাবাদ এলাকার খলিলুর রহমানের স্ত্রী হিরামনি আক্তার মামলাটি করেন।

আদালতের বিচারক আগামী ২১ দিনের মধ্যে কাউনিয়া থানার ওসিকে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই মামলার আসামীরা হচ্ছেন, রংপুর রামনাথপুর ইউনিয়নের রামনাথপুর শেখপাড়ার মৃত আঃ মজিদের ছেলে মোকাদ্দেছ ও শরিফুল ইসলাম। মোকাদ্দেছ চট্টগ্রামের সন্দিপের ফরেস্ট গার্ড ও শরিফুল রংপুরের বদরগঞ্জ থানাধীন অগ্রনী ব্যাংকে কর্মরত রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী হিরামনির স্বামী খলিলুর রহমানের সাথে মোকাদ্দেছ একই সাথে সন্দীপের ফরেস্ট গার্ডে কর্মরত রয়েছে।

একই স্থানে কর্মরত থাকার সুবাদে খলিলের সাথে মোকাদ্দেছের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এছাড়া উভয়েই তাদের পরিবারে বেড়াতেও আসা যাওয়া করে।

এতে করে উভয় পরিবারের মাঝে বিশ্বাস গড়ে উঠে। ২০১৯ সালে খলিল তার স্ত্রীকে হিরামনিকে নিয়ে মোকাদ্দেছ ও শরিফুলের রংপুরের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়।

এ সময় মোকাদ্দেছ ও শরিফুল হিরামনিকে সরকারি চাকরি করতে চায় এমন পরিচিত কেউ আছে কিনা জানতে চায়। তখন হিরামনিও তাকে সরকারি চাকরি নিতে চায় তার কয়েকজন আত্মীয়ের কথা বলেন।

একপর্যায়ে মোকাদ্দেছ ও শরিফুল তাদের মামা সচিব বলে পরিচয় দিয়ে একেকজনকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেবার প্রস্তাব দেয়।

পরে হিরামনি চাকরি চায় তার স্বজন নগরীর বেলতলা এলাকার সুলতান আহমেদ, মুগাকাঠীর আবুল কালাম এবং রিয়াজুল ও উজিরপুর ইছলাদীর আরিফকে বললে তারা চাকরি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এতে করে সুলতান আহমেদ ৩ লাখ, আবুল কালাম ৩ লাখ, রিয়াজুল সাড়ে ৩ লাখ ও আরিফ দেড় লাখ টাকাসহ ১১ লাখ টাকা মোকাদ্দেছ ও শরিফুলকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

পরে মোকাদ্দেছ ও শরিফুল হিরামনির বাসায় বেড়াতে এসে আরো ২ লাখ টাকা নেয়। এরপর দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও মোকাদ্দেছ ও শরিফুল চাকরি দিতে পারেনি।

চাকরি না দেয়ায় সবাই মোকাদ্দেছ ও শরিফুলের নিকট টাকা ফেরত চায়। মোকাদ্দেছ ও শরিফুল টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করে।

এরই ধারাবহিকতায় গত ৭ অক্টোবর শায়েস্তাবাদে হিরামনির বাসায় শালিস-মিমাংশা বসে। সেখানে মোকাদ্দেছ ও শরিফুল আশ্বাস দিলেও টাকা ফেরত দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হিরামনি গতকাল আদালতে মামলাটি করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন।

আ/ মাহাদী

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

এক্সক্লুসিভ আরও