দুদকের মামলায় স্বামী পালাতক স্ত্রী জেলে, মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

জানুয়ারি ১৫ ২০২৩, ১৪:১২

সোহেল রানা, বাকেরগঞ্জ : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশীবপুর ইউনিয়নের পারশিবপুর গ্রামের মৃত মোঃ সরোয়ারদি মিয়ার পুত্র পটুয়াখালী জেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী মিজানুর রহমান মিন্টু মৃধা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলা এবং থানা পুলিশকে মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ৪৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯ শত ৪৬ টাকা মূল্যের তথ্য গোপনসহ ৭৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪শত টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের পারশিবপুর গ্রামের মৃত মোঃ সরোয়ারদি মিয়ার পুত্র পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী ও বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু ও তার স্ত্রী মোাসাম্মৎ জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারি মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টুর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।

দুদক থেকে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেন। ওই নোটিশ পেয়ে তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন। দুদকের অনুসন্ধান তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীতে ৪৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯ শত ৪৬ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনসহ ৭৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪শত টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখায় মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং-০১/২০২১) দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ১৪ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বিচারক ১ ডিসেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার ২নং আসামী মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টুর স্ত্রী মোসাম্মৎ জেসমিন বেগম চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মামলার মূল আসামি মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

সরকারি কৌঁসুলি জানান, আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন না নিলে গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিজ্ঞ বিচারক উক্ত মামলার আসামিদের মালামাল ক্রোকের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান দুদকের মামলায় মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু ও তার স্ত্রীর মালামাল ক্রোক দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মালামাল ক্রোকের জন্য থানার এএসআই নুরুল হককে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি ৯ জানুয়ার আসামী মিন্টুর বাড়িতে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। যে কারণে পুলিশের পক্ষে এখনো মালামাল ক্রোক করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  

এক্সক্লুসিভ আরও