বরিশালে হতাশা: ভোলায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
নভেম্বর ০১ ২০২২, ১২:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জলে নেমেছেন জেলেরা। ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তবে বরিশাল, কুয়াকাটা ও চাঁদপুরে তেমন ইলিশ না পেয়ে হতাশ তারা। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, এবার প্রজনন মৌসুমে ৮৪ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে।
ভোলার মেঘনা নদীর তীরে মাছ ঘাটগুলো জমজমাট। সকাল থেকে এখানে ভিড়ছে মাছ ধরা ট্রলার। হাঁকডাকে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা, এক কেজির বেশি হলে হালি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রচুর পাঙ্গাস মাছও ধরা পড়ছে জালে।
জেলেরা জানান, প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। সেই সঙ্গে বড় বড় পাঙ্গাশও পাওয়া যাচ্ছে। বরিশালে ইলিশ কম ধরা পড়ায় দাম চড়া। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছর নিষেধাজ্ঞার পর প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। কিন্তু এবার পরিমাণ কম, তাই দামও বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানান, যেখানে মাছ ছিল ৭-৮শ’ সেখানে ১৪-১৫শ’ টাকা কেজি। মাছ ধরা পড়ছে কম, এজন্য দাম চড়া। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় প্রত্যাশিত ইলিশ না পেলেও মিলছে পাঙ্গাসসহ অন্যান্য মাছ।
জেলেরা জানান, আগে ৫-১০ মাছ পাওয়া যেতো সেখানে এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪-৫টা। এবার ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না তবে পাঙ্গাশ ধরা পড়ছে। সাগরে জাল ফেলে ইলিশের দেখা না পেয়ে হতাশ কুয়াকাটা ও কলাপাড়া উপকূলীয় সমুদ্রগামী জেলেরা।
এখানকার জেলেরা জানান, ২৫টি জাল মেরে মাছ পেয়েছি ৪টা। বরগুনার মাছ বাজার সরগরম হলেও ইলিশের উপস্থিতি কম। প্রায় মাছের পেটে ডিম বলছেন সাধারণ মানুষ।
এবার ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ৩০ শতাংশ বড় ইলিশ ডিম ছেড়েছে যা আগে কখনো হয়নি। যুক্ত হয়েছে ৪০ হাজার কোটি জাটকা। অভিযান সফল হয়েছে বলে মনে করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, “এবছর ৮৪ শতাংশ মা-ইলিশ ডিম দিয়েছে। আমরা মনে করছি, এবারে ডিম দেওয়ার যে সফলতা তা অত্যন্ত ভালো দিক।”
অন্যদিকে ইলিশ একসঙ্গে সব জায়গায় বিচরণ করে না উল্লেখ করে অচিরেই প্রত্যাশিত ইলিশ ধরা পড়বে বলে মনে করছেন এই গবেষক। ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, “ইলিশ তো সব নদীতে সমানভাবে বিচরণ করেনা। একটু অপেক্ষা করতে হবে, ইলিশ আসছে।”
ইলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান এই গবেষক। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেন, “শুধু পাঙ্গাশ মাছ না নদ-নদীতে অন্যান্য মাছও বেড়েছে।”
আ/মাহাদী