ডিম ও মুরগির আরও এক লাফ
নভেম্বর ০১ ২০২২, ১০:৫৩
ডেস্ক প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বেড়েছে। তিনদিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪০ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ হয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান, মোহাম্মদপুর, শাহ আলীসহ বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত তিন-চার দিনে ডিমের দাম বেড়েছে। বাজারে সাদা ও বাদামী এই দুটি রঙের ফার্ম (ব্রয়লার) মুরগির ডিম পাওয়া যায়। সাদা ডিমের দাম সাধারণত বাদামী রঙের চেয়ে একটু কম।
ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম আগে বেড়েছিল প্রতি ডজনে ১৬৫ টাকা। তবে পরে দুই-তিন মাস আগে তা কমে দাঁড়ায় ১২০ টাকায়। বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে বাদামি ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৩০-১৪০ টাকা থাকলেও পরে ডজনপ্রতি ১৫০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
মিরপুর এলাকার শাহ আলী কাঁচা বাজারের ক্রেতা মতিউর রহমান বলেন, “কয়েক মাস ধরে ডিমের দাম অস্থির অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিন-চার মাস আগেও পাওয়া যেত প্রতি ডজন ১১০ টাকায়। তিন দিন আগে আমি ১৪০ টাকায় কিনেছিলাম কিন্তু আজ প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা হয়েছে।”
একই দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে কারওয়ান বাজার, শাহ আলী, টাউন হল বাজারেও।
এই ক্রেতা বলেন, স্থানীয় মুদি দোকান থেকে কিনলে এই ডিমের দাম আরও দুই তিন টাকা বেশি দিতে হয়।
বাজারে ডিমের ঘাটতি নেই, তবুও এই দাম বৃদ্ধির কারণ কি এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি শাহ আলী কাঁচা বাজারের বিক্রেতারা।
শাহ আলী কাঁচা বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. মালেক বলেন, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ডিমের দাম খুব দ্রুত ওঠানামা করছে; আজকের দাম আগামীকালের মত নাও হতে পারে। বড় ব্যবসায়ীরা এসব দাম নির্ধারণ করেন। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দামে ডিম কিনি তার চেয়ে ০.২০ টাকা থেকে ০.৫০ পয়সা লাভে বিক্রি করি।”
এদিকে বাজারে ডিমের পাশাপাশি মুরগির দামও বাড়ছে।
বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ১৯৫ টাকা, যেখানে সোনালী মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা বা ৩৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
প্রতি কেজি দেশি মুরগির দাম ৫৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই জানান, “মাত্র এক সপ্তাহে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।”
শাহ আলী কাঁচা বাজারের ডিলার শফিক মিয়া জানান, “আগের ঊর্ধ্বগতির তুলনায় মুরগির দাম অনেকটাই বেড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “শীতের শুরুতে প্রায়ই মুরগির সরবরাহ কমে যায় যার প্রভাব পড়ে দামে ও সরবরাহ স্বাভাবিক হলে তা কমে আসবে।”
এদিকে রাজধানীর অনেক এলাকায় পণ্য না পাওয়ায় চিনির বাজার এখনো উত্তাল।
সাদা চিনির দাম কেজি প্রতি ১১৫ টাকা হয়েছে। বাজার থেকে বাদামি চিনি প্রায় উধাও হয়ে গেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চিনি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদক ভারত। এ কারণে দেশের চিনির বাজারও প্রভাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশ চিনির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভারত থেকে আমদানি করে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বার্ষিক চিনির চাহিদা ১.৮ থেকে ২ মিলিয়ন টন। দেশের মিলগুলো এই চাহিদার মাত্র ১০০,০০০ টন সরবরাহ করে। বাকি চিনি ভারত, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া ইত্যাদি থেকে আমদানি করা হয়।