বরিশালে সেবার নামে হয়রানি নৈরাজ্য, অর্থ ছাড়া ফিরতে পারে না কেউ!
অক্টোবর ৩১ ২০২২, ১৫:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে সরকারের সেবার নামে অর্থ আদায়, নৈরাজ্য আর হয়রানি ছাড়া ফিরতে পারে না সেবা প্রত্যাশী কোন লোকজন।
চাহিদানুযায়ি অর্থ না দিলে সেবা গ্রহনকারীদের কাগজপত্র ছিড়ে ফেলাসহ লাঞ্ছনা ও গলা ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়ার হুমকির ঘটনায়ও ঘটেছে।
এ সকল ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের হারেজ শিকদারের ছেলে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. লিমোন শিকদারের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি ২০১৯ সালে ভোটার তালিকায় নাম লেখান।
সম্প্রতি তার ভোটার রশিদ হারিয়ে গেলে রবিবার দুপুরের পরে ওই ভোটার রশিদ উত্তোলনের জন্য তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে যায়।
নির্বাচন অফিসের ডাটা-এন্টি অপারেটার এসএম ইমরান হোসেন কম্পিউটার থেকে পুণরায় তার রশিদটি প্রিন্ট দিয়ে কার্যালয়ের সীল দিয়ে ৫শ টাকা দাবী করেন।
৫শ টাকার পরিবর্তে লিমোন সরকারী ফি দেয়ার কথা বললে কর্মচারী ইমরান উত্তেজিত হয়ে ওই রশিদটি ছিড়ে ঠুকরো করে ফেলে দিয়ে লিমোনকে লাঞ্ছিত করে। এসময় প্রয়োজনে লিমোনকে অফিস থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ারও হুমকি দেয় ওই কর্মচারী।
বিষয়টি সাংবাদিকরা জেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেনকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
পরে রবিবার বিকেলে ভুক্তভোগী লিমোন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেনের কাছে ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে অতিসম্প্রতি বাশাইল গ্রামের সেবা প্রত্যাশী সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিক মৃধাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ডাটা-এন্টি অপারেটার এসএম ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের কাছে কাগজ ছিড়ে ফেরঅর সত্যতা স্বীকার করে অতিরিক্ত টাকা চাওয়া কথা আস্বীকার করেন।
লিমোনের ভোটার আইডি কার্ড পিন্টের জন্য তার কাছ ৫শ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছেন।
উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন।
ঘটনা জানার পরে সেবা প্রত্যাশী লিমোন শিকদারের ভোটার স্লিপ প্রিন্ট করে দেয়া হয়েছে। সেবার নামে হয়রানী আর নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত অপারেটর ইমরান হোসেন এবং নির্বাচন অফিসার সাইফুল ইসলামকে ভর্ৎসনাও করেন তিনি।
আ/ মাহাদী